পুলিশকে বোমা মারতে বলেও রেহাই! তবে এখন কেন গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল
বাম শাসনের শেষ দিকে উত্থান। বীরভূমের (Birbhum) দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তৃণমূল (Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পরেও অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) পুলিশকে বম্ব মারতে বলেছিলেন। তারপরেই পুলিশ তাঁকে স্যালুট করেছে। সেই কা
বাম শাসনের শেষ দিকে উত্থান। বীরভূমের (Birbhum) দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তৃণমূল (Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পরেও অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) পুলিশকে বম্ব মারতে বলেছিলেন। তারপরেই পুলিশ তাঁকে স্যালুট করেছে। সেই কারণেই হয়তো তিনি পুলিশের সঙ্গে সিবিআইকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। বারে বারে অবজ্ঞ করে গিয়েছেন সিবিআই (CBI) -এর নোটিশ। ১০ বার তলবে মাত্র একবার উপস্থিতি। যার ফলস্বরূপ গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। আর গ্রেফতারের পরেই দলের নেতা অর্জুন সিং বলেছেন, কেউ দোষ করলে দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে না।
পুলিশকে বম্ব মারুন
ক্ষমতায় তৃণমূল, পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন পুলিশকে বম্ব মারুন। এরপর বিরোধীরা অনুব্রতকে গ্রেফতারের দাবি জানালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের মাথায় অক্সিজেন কম ঢোকে।
এর
পরবর্তী
সময়ে
নির্বাচনে
সামনে
অপ্রতিরোধ্য
হয়ে
ওঠেন
অনুব্রত
মণ্ডল।
কখনও
বিরোধীদের
গুড়-বাতাসা,
কখনও
নকুল
দানা
আবার
কখনও
চড়াম
চড়াম
ঢাক
বাজানোর
কথা
বলেছিলেন।
বিরোধীরা
বারে
বারে
ভয়
দেখনো
দেখানো
থেকে
শুরু
করে
মনোনয়ন
জমা
না
দিতে
দেওয়ার
অভিযোগ
করেছিলেন
অনুব্রত
মণ্ডলের
বিরুদ্ধে।
কিন্তু
কিছুই
হয়নি।
গরু পাচার মামলায় বারে বারে তলব
এরই মধ্যে গরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় নাম জড়ায় অনুব্রত মণ্ডলের। সিবিআই-এর দাবি অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। তারপর বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ বার তলব করে সিবিআই। মাত্র একবার হাজিরা দেন তিনি। সেদিনই এসএসকেএমকে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করার নামে স্বল্প সময়ের মধ্যেই সিবিআই-এর সামনে থেকে বেরিয়ে আসেন।
চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার অভিযোগ
অনুব্রত মণ্ডল এর আগে সিবিআই-এর তলবের পরেই সরাসরি এসএসকেএম-এ সে ভর্তি হয়েছিলেন। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি সরকারের সমালোচনা করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় সিবিআই-এর ডাক পাওয়ার পরে তিনি এসএসকেএম-এ আসেন। তাঁর জন্য উডবার্ন ওয়ার্ডে বেড ঠিক হয়ে যায়। তবে ৭ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা দলের চারজন বলেন অনুব্রত মণ্ডলকে ভর্তির প্রয়োজন নেই। তাঁর যে রোগ রয়েছে তা ক্রনিক। সেদিনই বোলপুরে ফিরে যান অনুব্রত।
চিকিৎসককে চাপ দিয়ে বিশ্রাম লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
বোলপুরের বাড়িতে ফেরার পরের দিনই সকালে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে বলেন ১৪ দিনের বিশ্রাম লিখে দিতে। তিনিও সাদা কাগজে তাই লিখে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অধিকারী জানান, ক্রনিক অসুখ এবং ফিসচুলার অসুবিধা ছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের তেমন কোনও অসুবিধা নেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাঁর এই কথোপকথনও নজরে আসে সিবিআই-এর।
এরপরেই সিবিআই তরফে তাদের তলব এড়িয়ে যাওয়া এবং অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজ দিল্লিতে পাঠানো হয়। তারপর বুধবার গভীর থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়। কলকাতা ও দুর্গাপুর থেকে একযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং সিবিআই আধিকারিকরা
রওনা দেন বোলপুরের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! গরুপাচার মামলায় বোলপুরের বাড়ি থেকে তুলে আনল সিবিআই