পাঁচদিনের সফরে সঙ্গে ৬৪ জন কেন, সিঙ্গাপুর সফর ঘিরে তোপ বিরোধীদের
পশ্চিমবঙ্গ পুঁজি বিনিয়োগের পক্ষে কতটা আদর্শ, সেই কথা তুলে ধরাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য। কিন্তু বিরোধী দলগুলির প্রশ্ন, সরকারি খরচে ৬৪ জনকে নিয়ে যাওয়ার কী দরকার ছিল? এর চেয়ে ছোট টিম কি করা যেত না? যাওয়া-আসার বিমানভাড়া, পাঁচতারা হোটেলে থাকার খরচ ইত্যাদি নিয়ে বিপুল টাকা ব্যয় হবে। যে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা, তাদের কোষাগারে তো আরও চাপ পড়বে! প্রধানমন্ত্রীর সফরেও সাধারণত এত বড় টিম যায় না।
সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত সামুদ্রিক মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন। কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েং লুং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তার পর সিঙ্গাপুর শহর ঘুরে দেখবেন তিনি। লক্ষ্য, সিঙ্গাপুরের ধাঁচে কলকাতায় পরিকাঠামো তৈরি করা। বুধবার সারাদিন সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। ২০০৫ সালে এমনই একটি বৈঠক করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
বুধবার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক সেরে তিনি যাবেন মেরিনা ব্যারেজ ঘুরে দেখতে। সন্ধেবেলা। এই ব্যারেজ থেকে কীভাবে সিঙ্গাপুর শহরে জল সরবরাহ করা হয়, তা বোঝানো হবে মমতাকে। ওইদিন রাতে সিঙ্গাপুরের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে স্বল্প সময় বৈঠক করবেন। দুপুরে সিঙ্গাপুরের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। শুক্রবার অর্থাৎ সফরের শেষদিন সেন্টোসা দ্বীপ ঘুরে দেখবেন। যাওয়ার কথা রয়েছে জুরং পাখিরালয়েও। ওইদিন রাত সাড়ে দশটায় কলকাতা পৌঁছনোর কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।