উদয়নের ফ্ল্যাটের দেওয়ালে লাল-নীল কালিতে লেখাগুলি কার? ভোপালও যাবে বাঁকুড়া পুলিশ
লাল কালিতে ফ্ল্যাটের দেওয়ালে লেখা, ‘বাই বাই ভোপাল, আমরা ইন্ডিয়া ছাড়তে চলেছি।’ নিচে নামে লেখা— আকাঙ্ক্ষা। আমেরিকা যাওয়ার আভাস ছিল আকাঙ্ক্ষার ওই দেওয়াল বার্তায়।
বাঁকুড়া, ৯ ফেব্রুয়ারি : লাল কালিতে ফ্ল্যাটের দেওয়ালে লেখা, 'বাই বাই ভোপাল, আমরা ইন্ডিয়া ছাড়তে চলেছি।' নিচে নামে লেখা- আকাঙ্ক্ষা। আমেরিকা যাওয়ার আভাস ছিল আকাঙ্ক্ষার ওই দেওয়াল বার্তায়। কিন্তু আকাঙ্ক্ষা বা উদয়ন কেউই আমেরিকা যাননি। তা থেকেই পুলিশের মনে করছে, ওই লেখা বোধহয় আকাঙ্ক্ষার নয়, উদয়নও মিথ্যের বেসাতি করেছে।[আকাঙ্ক্ষা খুনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্বে অবিচল উদয়ন, ফের রায়পুরে যাচ্ছে বাঁকুড়া পুলিশ]
এখন দেওয়ালের সেই লেখনিই খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়া পুলিশের ভোপাল যেতে চাইছে। তবে তদম্তকারীরা আপাত সহমত যে, উদয়নের সাকেত নগরের ফ্ল্যাটে গত বছরের জুনমাসের আগে একাধিকবার গিয়েছিলেন আকাঙ্ক্ষা। দেওয়ালে বিভিন্ন রঙের কালিতে লেখা নানা বার্তা। কখনও লাল, কখনও নীল, আবার কখনও কালো কালিতে লেখা। প্রতিটি লেখার নিচেই আকাঙ্ক্ষা নাম 'খোদাই' করা।[ফেসবুকে 'রূপকথার সাম্রাজ্য' গড়েছিল সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাস!]
আপাতত পাঁচটি লেখা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে উদয়ন জানিয়েছে, মোট ছ'বার আকাঙ্ক্ষা আমার ফ্ল্যাটে এসেছিল, সেই তারিখগুলিই লেখা আছে দেওয়ালে। প্রতিবার নিজের হাতে ওই লেখাগুলি লিখে যেত আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু লেখার কথাগুলি পুলিশকে অন্যরকম ভাবতে বাধ্য করছে। কোনও লেখায় উদয়নের নামে প্রশংসা, আবার কোনও লেখায় ভোপাল নিয়ে স্মৃতিতর্পণ। তবে সব থেকে পুলিশকে ভাবাচ্ছে 'বাই বাই ভোপাল' লেখাটাই। যে-ই লিখুক না কেন, কোথায় যাওয়ার কথা বলা হয়েছে তা কিন্তু লেখা ছিল না।[২০১০ সালে বাবা-মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল উদয়ন, খুনের মোটিভ চমকে দেওয়ার মতো]
পুলিশ খতিয়ে দেখবে, ওই হাতের লেখাটি কার? নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ওই লেখাগুলি উদয়ন নিজেও লিখতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় তার বয়ান নিয়েও ধন্দে তদন্তকারীরা।[শহরের আতঙ্ক এবার 'ফেসবুক কিলার'!]