বিধাননগরের মেয়র পদে এগিয়ে কারা? কে হাতে পাবেন গুরুদায়িত্ব
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের আসন টলমল। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পুর প্রতিনিধিরা অনাস্থা প্রস্তাব আনছে।
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের আসন টলমল। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পুর প্রতিনিধিরা অনাস্থা প্রস্তাব আনছে। বিধাননগরের সিংহভাগ কাউন্সিলর তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চেয়ারপারসন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছেন। যাতে মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে ছেঁটে ফেলা যায়।
কে হবেন মেয়র
এই ঘটনার মধ্যে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। সব্যসাচী যদি আস্থা ভোটে হেরে যান তাহলে কে হতে পারেন বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র। এক্ষেত্রে দুটি নাম উঠে আসছে। এক, এই মুহূর্তে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এবং দ্বিতীয়ত ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করা তাপস চট্টোপাধ্যায়।
কৃষ্ণা অনুগত কর্মী
কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার যখন সাংসদ হন, তখন থেকেই কৃষ্ণা তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহুদিন তিনি রাজনীতি করেছেন। মাঝে বহু বছর রাজনীতির বৃত্তের বাইরে ছিলেন কৃষ্ণা। তবে ২০১০ সালে তাঁকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনেন মমতা। বিধাননগর থেকে পুর ভোটে জিতে তিনি দায়িত্ব পান। পরে চেয়ারপার্সন হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ফলে এই কৃষ্ণাকেই দলের দুর্দিনে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তাপস দুঁদে রাজনীতিক
অন্যদিকে রয়েছেন এলাকারই বহুদিনের রাজনীতিবিদ তাপস চট্টোপাধ্যায়। এলাকায় তাঁর প্রভাব এবং পরিচিতি অনেক বেশি। ২০১৫ সালে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন তাপস। তারপর ধীরে ধীরে বিধাননগর এলাকায় দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। সেই তাপস চট্টোপাধ্যায়কেই পরবর্তী মেয়র করা হতে পারে।
তাপসকে নিয়ে অসন্তোষ
তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় হল, একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাপসকে দলে নেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এখনও সব্যসাচী অনুগামী থেকে শুরু করে দলের একটা অংশ তাপস চট্টোপাধ্যায়ের উত্থানকে ভালোভাবে দেখে না। ফলে তাপস চট্টোপাধ্যায়কে মেয়র পদে বাছা হলে বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলরদের অনেকেই অরাজি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে দল কীভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেয় এখন সেটাই দেখার।