প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হচ্ছেন কে! সোমেনের প্রয়াণে ভাসছে আরও অনেক নাম
বাংলায় কংগ্রেস ক্রমশ ছোট হতে থাকলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মর্যাদা ও গুরুত্ব একেবারেই আলাদা। সেই লক্ষ্যেই সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর এই পদের লড়াই বাড়ছে।
বাংলায় কংগ্রেস ক্রমশ ছোট হতে থাকলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মর্যাদা ও গুরুত্ব একেবারেই আলাদা। সেই লক্ষ্যেই সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর এই পদের লড়াই বাড়ছে। প্রথমে তিনটি নাম শোনা যাচ্ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের লড়াইয়ে। এখন এই পদের জন্য আরও নাম ভেসে আসছে।
অধীরের নাম উঠলেও দুই বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঠিক করার জন্য এইআইসিসি ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। প্রক্রিয়া শুরু করতেই প্রস্তাবিত তালিকায় যোগ হয়েছে আরও নাম। অধীর চৌধুরীর নাম উঠলেও দিল্লিতে দুই বড় দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে। তাই তাঁর পক্ষে এই দায়িত্ব নেওটা একপ্রকার অসম্ভব। তিনি এ জন্য ভিন্ন নাম প্রস্তাব করেছেন।
কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির শূন্যপদে তিনটি নাম
সোমেনের প্রয়াণে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির শূন্যপদের জন্য তিনটি নাম উঠে আসে। এক প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, দুই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং তিন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। এর মধ্যে অধীরের কেন্দ্রীয় দায়িত্ব থাকায় লড়াই মূলত দুই নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
অধীরের প্রস্তাবিত নাম, লড়াইয়ে ডালুবাবুও!
এখন এই লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে আরও অনেক নাম। অধীর চৌধুরী প্রস্তাব করেছেন মনোজ চক্রবর্তীর নাম। তিনি বহরমপুরের বিধায়ক। অধীর চৌধুরীর একান্ত অনুগামী। কিন্তু অধীরের পছন্দের ওই নামে আপত্তি রয়েছে প্রদেশের অন্য নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে ভেসে উঠেছে গনি খানের ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী তথা ডালুবাবুর নাম।
আরও যে সব নাম ভাসছে প্রদেশ সভাপতির লড়াইয়ে
শুধু এখানেই শেষ নয় নামের তালিকা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আসনে বসতে নিজের নিজের লবি নিয়ে সক্রিয় হচ্ছেন নেপাল মাহাতো ও শঙ্কর মালাকার। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। তবে দীপা দাশমুন্সি এই লড়াইয়ে ঢোকেননি। তিনি এমন আগ্রহও প্রকাশ করেননি।
যিনি সবাইকে নিয়ে চলায় দক্ষ হবেন, তিনিই সভাপতি
কংগ্রেসের ভাঙা বাজারেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ নিয়ে এই লড়াই এখন তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে এখন এআইসিসি এমন একজন নাম বেছে নিতে চাইছেন, যিনি সবাইকে নিয়ে চলায় দক্ষ হবেন। এবং একইসঙ্গে বাম নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে পারবেন। প্রয়োজনে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলতে হতে পারে তাঁকে।
সোমেনবাবুর স্মরণসভার আগেই নয়া সভাপতি!
সোমেনবাবুর স্মরণসভার আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বেছে নিতে চাইছে কংগ্রেস। এআইসিসির তরফে গৌরব গগৈ ও বেনুগাপোলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যোগ্য নাম খুঁজে নিতে চাইছে। এই লড়াইয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্যই এগিয়ে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার আবদুল মান্নানও বিবেচনায় রয়েছে।