মমতা সাত দিন সময় দিয়েছিলেন ‘গদ্দার’দের, তৃণমূলের কারা তারপর বিজেপির পথে
বীজপুরের সভা থেকে গদ্দারদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, যাঁরা দল ছাড়ার তাঁরা সাতদিনের মধ্যে দল ছেড়ে দিন।
বীজপুরের সভা থেকে গদ্দারদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, যাঁরা দল ছাড়ার তাঁরা সাতদিনের মধ্যে দল ছেড়ে দিন। তার তিনদিনের মাথায় অর্জুন সিংয়ের শ্যালক তথা নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংয়ের দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা চরমে উঠল। তিনি ১২ জন কাউন্সিলর নিয়ে দিল্লি রওনা হয়েছেন।
দিল্লি গমনে জল্পনা
আর তাঁর এই দিল্লি গমন নিয়েই জল্পনার পারদ চড়েছে। এই সুনীল সিংয়ের দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছিল অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় থেকে। তারপর শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে তাঁরও বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চর্চা চলছিল। সেদিন তিনি যোগ দেননি। উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকে উপস্থিত থেকে তিনি গুরুত্ব আদায় করে নিয়েছিলেন।
সাতদিন সময় মাত্র!
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর ফের সুনীল সিংকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মমতা বলেছিলেন সাতদিনের মধ্যে দল ছাড়ুন, যাঁরা ছাড়তে চান। তারপরই সুনীল সিং চললেন দিল্লি। এদিকে সব্যসাচী দত্ত তো নিত্যদিন জল্পনা বাড়াচ্ছেন। আর শীলভদ্র দত্তকে নিয়ে জল্পনা চলছিল, তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকছেন।
আর কারা বিজেপিতে
এখন দেখার সুনীল সিং যদি তৃণমূল ছেড়ে দেন তবে তাঁর সঙ্গে আর কত জন বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি যেমন একেধারে নোয়াপাড়ার বিধায়ক, তেমনই তিনি গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁর দলত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কি না, সেটাই দেখার।
মমতার বীজপুর-বার্তা
মমতা বীজপুরের সভায় বলেছিলেন, আমরা সেইসব সুবিধাভোগীদের দলে চাই না, যাঁদর মন বিজেপিতে, অথচ তৃণমূলে রয়েছেন। বাংলায় যারা বিভাজনের রাজনীতি করছে, যে সমস্ত গদ্দাররা তাঁদের হাত শক্ত করছেন, তারা চলে যেতে পারেন দল ছেড়ে। তিনি নাম না করে মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়, অর্জুন সিংদের ফের গদ্দার বলে তোপ দাগেন।
বীজপুর থেকেই ভাঙনের সূত্রপাত
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর বীজপুর থেকেই ভাঙনের সূত্রপাত হয়েছিল। মুকুল-পুত্র তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় পিসির দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বাবার বর্তমান দল বিজেপিতে। তারপর একে একে এলাকার পুরসভাগুলিতে কর্তৃত্ব কায়েম করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বীজপুর থেকেই দলকে সংঘবদ্ধ করার পদক্ষেপ শুরু করে দিলেন।