জেলা পরিষদে কে কটা আসন পেতে চলেছে, শেষমূহূর্তে কে কাকে টেক্কা দিল, একনজরে
আর দুদিন পর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে কার পালে বইল হাওয়া। এবার নির্বাচনে কোন দল কতগুলি আসন পাবে, সেদিকে এখন সবার নজর। সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আর দুদিন পর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে কার পালে বইল হাওয়া। এবার নির্বাচনে কোন দল কতগুলি আসন পাবে, সেদিকে এখন সবার নজর। সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দারুন চমক দিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি বিজেপি। প্রাক-ভোট পর্বে উঠে এমনই সম্ভাবনা।
সমীক্ষার আভাস অনুযায়ী এবার পঞ্চায়েতে বিজেপি তাক লাগানো ফল করতে চলেছে। তবে জয়ের হাসি হাসবে তৃণমূলই। কিন্তু তাদের প্রবলতর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে আসতে চলেছে গেরুয়া শিবিরই। অন্য বিরোধীদের সরিয়ে রাজ্যে বিজেপির উত্থান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলও। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী এবার জেলা পরিষদে ৫২০টি আসন দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ৮২৫টি আসনের মধ্যে সিংহভাগ আসন যাচ্ছে তৃণমূলের দখলে।
প্রথম দফার সমীক্ষার তুলনায় তৃণমূলের আসন কমতে চলেছে। বিজেপি পেতে পারে ১৮৭টি আসন। প্রথম দফার সমীক্ষার তুলনায় ৪০টি আসন বাড়াতে সমর্থ হবে বিজেপি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে বিজেপি ফল তুলনায় আরও ভালো হবে।
গতবারের নির্বাচনের তুলনা। সবথেকে চাঞ্চল্যকর ফল করছে বিজেপি। কারণ ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল ৫৩১টি আসনে। এবার তাদের আসন কমে ৫২০টি হতে পারে। আর বিজেপি সেখানে শূন্য থেকে বেড়ে ১৮৭টি। বামেরা ২১৩ থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৭০-এরও নিচে আর কংগ্রেস ৭৭ থেকে কমে হতে পারে ৩০-৩৫টি।
শুধু জেলা পরিষদের আসন সংখ্যাতেই নয়, এবার ভোট শতাংশে চাঞ্চল্যকর উত্থান ঘটছে বিজেপির। বিজেপি এবার ৪-৫ শতাংশ থেকে ভোট বাড়িয়ে ২৭-২৮ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। আর তৃণমূল সেথানে ভোট শতাংশে ৪২ থেকে নেমে যেতে পারে ৩৩-৩৪ শতাংশে। মনোনয়নে হিংসার জেরে তৃণমূলের ভোট আরও কমছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আর বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ভোট পাচ্ছে যথাক্রমে ১৩ ও ৭ শতাংশ।