পঞ্চায়েত ভোটে কে কটা আসন পেতে পারে, ভোট শতাংশে কার টেক্কা, দেখে নিন একনজরে
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করতে পারেনি কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের দামামা যখন বেজে গিয়েছে, তখন এবার নির্বাচনে কোন দল কতগুলি আসন পাবে, সেদিকে এখন সবার নজর।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করতে পারেনি কমিশন। কিন্তু থেমে নেই জল্পনা। পঞ্চায়েত ভোটের দামামা যখন বেজে গিয়েছে, তখন এবার নির্বাচনে কোন দল কতগুলি আসন পাবে, সেদিকে এখথন সবার নজর। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বর্ধিত মনোনয়নের তারিখ। এরই মাঝে সমীক্ষকদের সমীক্ষা রিপোর্টে এবার থাকছে দারুন চমক।
[আরও পড়ুন:শেষ পর্যন্ত কোন দল কত মনোনয়ন জমা দিতে পারল, দেখে নিন হিসাবটা ]
সমীক্ষার আভাস অনুযায়ী এবার পঞ্চায়েতে বিজেপি তাক লাগানো ফল করছে। তৃণমূল বিপুল জয় পেলেও অন্য বিরোধীদের সরিয়ে রাজ্যে তৃণমূলের প্রবলতর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে গেরুয়া শিবিরই। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী এবার জেলা পরিষদে ৫৩৮টি আসন দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ৮২৫টি আসনের মধ্যে সিংহভাগ আসন যাচ্ছে তৃণমূলের দখলে।
প্রথম দফার সমীর তুলনায় তৃমমূল ৬টি আসন বাড়াতে সক্ষম হতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ১৬৭টি আসন। প্রথম দফার সমীর তুলনায় ২৩টি আসন বাড়াতে সমর্থন হবে বিজেপি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে বিজেপি তুলনায় উন্নতি করছে। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও অন্যান্যরা পেতে পারে যথাক্রমে ৭৩, ৪৩ ও ৪টি আসন।
এই নিরিখে সবথেকে চাঞ্চল্যকর ফল করছে বিজেপি। কারণ ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল ৫৩১টি আসনে। এবার মাত্র ৭টি আসন বাড়াতে পারছে। আর বিজেপি সেখানে শূন্য থেকে বেড়ে ১৬৭টি। বামেরা ২১৩ থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৭৩-এ আর কংগ্রেস ৭৭ থেকে কমে হতে পারে ৪৩।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রক্তের উৎসব বললেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার]
অন্যান্যরা এবারও দাঁড়িয়ে থাকছে ৪-এ শুধু জেলা পরিষদের আসন সংখ্যাতেই নয়, এবার ভোট শতাংশে চাঞ্চল্যকর উত্থান ঘটছে বিজেপির। বিজেপি এবার ৩ শতাংশ থেকে ভোট বাড়িয়ে ২৬ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। প্রথম দফার সমীক্ষার থেকে এই ভোট বৃদ্ধি ২ শতাংশ। আর তৃণমূল সেথানে ভোট শতাংশে ৪২ থেকে নেমে যেতে পারে ৩৪ শতাংশে। মনোনয়নে হিংসার জেরে তৃণমূলের ভোট আরও ১ শতাংশ কমছে প্রথম সমীক্ষার তুলনায়। আর বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ভোট পাচ্ছে যথাক্রমে ১৩ ও ৭ শতাংশ। নির্দল ও অন্যান্যদের ভোট ৪ শতাংশ।