নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা! দক্ষিণ কলকাতায় প্রথম পদযাত্রা শুভেন্দু অধিকারীর
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা! দক্ষিণ কলকাতায় প্রথম পদযাত্রা শুভেন্দু অধিকারীর
সোমবার নন্দীগ্রামে (nandigram) জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর প্রথমবার। অন্যদিকে প্রায় একই সময় দক্ষিণ কলকতায় পথে নামতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)।
তৃণমূল নেত্রী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় কটাক্ষ
তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে সভা করবেন ৭ জানুয়ারি। কিন্তু তৃণমূল জেলা কোঅর্ডিনেটক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি বাতিল হয়। তবে ৭ জানুয়ারি সেখানে সভা করেছিলেন সুব্রত বক্সি। যা নিয়ে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, আগে অনেকেই এখানে আসতেন না। এখন ভোট সামনে এসে যাওয়ায় আসছেন। কেন তাঁরা আসছেন সবাই বুঝতে পারছেন, মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।
তৃণমূল নেত্রীর পাল্টা সভা খেজুরিতে
১৯
ডিসেম্বর
বিজেপিতে
যোগ
দেওয়ার
পরে
নিজের
বিধানসভা
কেন্দ্র
নন্দীগ্রামে
শুভেনস্দু
অধিকারী
প্রথম
সভা
করেন
৮
জানুয়ারি।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
৭
জানুয়ারি
সভা
করবেন।
সেই
মতো
৮
জানুয়ারি
সভার
কর্মসূচি
নেওয়া
হবয়েছিল।
পরে
অবশ্য
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজের
কর্মসূচি
স্থগিত
রাখলেও,
৮
জানুয়ারি
সভা
করেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
সেই
সভা
থেকেই
তিনি
ঘোষণা
করেন,
১৮
জানুয়ারি
নন্দীগ্রামে
মমতা
বন্দ্যো
পাধ্যায়ের
পাল্টা
তিনি
সভা
করবেন
১৯
জানুয়ারি,
খেজুরিতে।
দক্ষিণ কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা
আগের দলের নেত্রীর নন্দীগ্রামে সভার দিনেই প্রথমবার কলকাতার রাজপথে নামছেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার রাজপথে বললেও কিছু ভুল হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির পদযাত্রা হবে। দুপুর আড়াইটেয় টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত হবে পদযাত্রা। দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির উদ্যোগে হওয়া এই পদযাত্রায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও হাজির থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর শিকদার।
সব থেকে বড় সুবিধাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল নেতারা যেখানেই যাচ্ছেন, শুভেন্দু অধিকারীর কথা উঠলেই তাঁকে বিশ্বাসঘাতক এবং মীরজাফর বলে আক্রমণ করছেন। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে ভারতের সব থেকে সুবিধাবাদী দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব থেকে সুবিধাবাদী নেত্রী বলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে বিজেপির সমর্থনে তৃণমূলের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে পরপর দুবার অটলবিহারী মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রেল ও কয়লা দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তিনি বিশ্বাসযোগ্যতার সার্টিফিকেট তৃণমূলের কাছ থেকে নেবেন না।
'ভ্যাকসিন চোর' সরকার! 'প্রমাণ' দিয়ে মমতার অভিযোগের জবাব দিলেন কৈলাশ