রাজ্যে কবে শুরু হচ্ছে ফের লোকাল ট্রেন? স্পষ্ট করলেন মমতা
প্রায় দুমাস হয়ে গিয়েছে রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ। সংক্রমণের চেন ভাঙতে প্রথমেই লোকাল ট্রেন বন্ধের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রায় বন্ধ রয়েছে পরিষেবা। যদিও বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে ভারত
প্রায় দুমাস হয়ে গিয়েছে রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ। সংক্রমণের চেন ভাঙতে প্রথমেই লোকাল ট্রেন বন্ধের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রায় বন্ধ রয়েছে পরিষেবা। যদিও বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে ভারতীয় রেল।
হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে এই ট্রেনগুলি চলছে।
কিন্তু ইতিমধ্যে বেশ কিছু অফিস খুলে যাওয়ার কারণে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে মানুষকে। এই অবস্থায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে কার্যত প্রত্যেকদিন বিক্ষোভ-অশান্তি চলছে। গতকাল বুধবার এবং আজ বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন জায়গাতে দফায় দফায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলে।
এই অবস্থাতেও লোকাল ট্রেন চালু করতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখনই লোকাল ট্রেন চালু করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এক প্রসঙ্গে উত্তরে মমতা বলেন, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই অবস্থায় লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করলেই ফের একবার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। এছাড়া রাজ্যে অন্যান্য পরিবহণ তো সীমিত সংখ্যায় চলছেই।
লোকাল ট্রেন যে এখনই চলবে না তা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তের সাড়ে ৪০০ এরও কাছাকাছি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যেভাবে ভিড় বাড়ছে স্পেশাল ট্রেনে সেক্ষেত্রে আরও ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।
এই অবস্থায় যাতে লোকাল ট্রেন চালু করা যায় সে নিয়ে সম্প্রতি ফের একবার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে রেল। কার্যত যেভাবে প্রত্যেকদিন অশান্তি-বিক্ষোভের আবহ তৈরি হচ্ছে তাতে যে কোনও দিন বড়সড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রেলের।
আর সেদিকে নজর রেখে এই বিষয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয় রেলের তরফে। যদিও টা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যে এই মুহূর্তে তৃতীয় পর্যায়ের কার্যত লকডাউন চলছে। একাধিক বিধি নিষেধ রয়েছে।
এই অবস্থায় তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে বেশ চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিকে তাকিয়ে নতুন করে কার্যত বিধি নিষেধ আরও বাড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা।