করোনা ভাইরাস লকডাউন! ২০ এপ্রিল উঠছে কিছু বিধিনিষেধ, একনজরে
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বিগ্ন দেখিয়েছে হাওড়া ও কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে। তবে এরই মধ্যে তিনি জানিয়েছেন মিষ্টির দোকান সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সারা দেশে লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। তবে তার আগে ২০ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। টুইটারে যা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
যেসব ক্ষেত্রে ২০ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ উঠছে
সব হেলথ সার্ভিস, সব ধরনের কৃষি ও উদ্যানের কাজকর্ম, সব ধরনের মাছ ধরা, ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে চা, কফি, রবাবের চাষ, পশুপালন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্র, এমএনআরইজিএ-এর কাজ, পাবলিক ইউটিলিটিস, রাজ্যগুলির মধ্যে মাল ওঠানো নামানো, অনলাইনে পড়াশোনা, দূরশিক্ষা, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ, নির্মাণ কাজ, কমার্শিয়াল ও প্রাইভেট এসট্যাবলিসমেন্ট, জরুরি পরিষেবায় বেসরকারি গাড়ি, ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারগুলির অফিস সমূহ।
যেসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে
তবে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে চলবে না ট্রেন, মেট্রো, সাধারণের জন্য বাস। আপাতত ভাবে হোটেল, লজ সবই বন্ধ থাকবে। গুটকা ও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেখানে সেখানে থুতু ফেলাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং।
২০ এপ্রিলের পর পশ্চিমবঙ্গ
১৪
এপ্রিল
দ্বিতীয়
দফার
লকডাউন
বাড়ানোর
সময়
প্রধানমন্ত্রী
ঘোষণা
করেছিলেন,
৩
মে
পর্যন্ত
লকডাউন
থাকলেও
২০
এপ্রিলের
পর
বেশ
কিছু
ক্ষেত্রে
লকডাউন
শিথিল
করা
হবে।
শুক্রবার
পশ্চিমবঙ্গের
পরিস্থিতি
নিয়ে
বলতে
গিয়ে
মুখ্যমন্ত্রীকে
উদ্বিগ্ন
দেখিয়েছে
হাওড়া
ও
কলকাতার
পরিস্থিতি
নিয়ে।
তবে
এরই
মধ্যে
তিনি
জানিয়েছেন
মিষ্টির
দোকান
সকাল
৮
টা
থেকে
বিকেল
৪
টে
পর্যন্ত
খোলা
থাকবে।
অন্যদিকে,
২০
এপ্রিল
ডেপুটি
সেক্রেটারি
থেকে
ওপর
পর্যন্ত
সবাইকে
কাজে
যোগ
দিতে
হবে।
ছাড়াও
লকডাউন
শুরু
হওয়ার
সময়
থেকেই
ছাড়
রয়েছে
মুদির
দোকান,
ওষুধের
দোকান,
মাংস
ও
মাছের
বাজারে।
খোলা
রয়েছে
ব্যাঙ্কও।
রাজ্য
এব্যাপারে
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
নির্দেশিকা
মেনেই
কাজ
করছে।
মুখ্যমন্ত্রী
জানিয়েছে
হটস্পট
এলাকায়
টোটাল
লকডাউন
হবে।
সেক্ষেত্রে
বাড়ি
থেকে
কেউ
বেরোতে
কিংবা
ঢুকতে
পারবেন
না।
ওষুধ
কিংবা
অন্য
প্রয়োজনীয়
জিনিস
ঘরের
দরজায়
প্রশাসনের
তরফে
পৌঁছে
দেওয়া
হবে।
মিডিয়াও
এই
হটস্পট
এলাকায়
ঢুকতে
পারবে
না।
হটস্পট
এলাকায়
সশস্ত্র
পুলিশ
নামানের
কথা
জানিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী।
ওপরে উল্লিখিত জেলাগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি জেলাগুলিকে গ্রিন জোনে রাখা হয়েছে। যে সব জেলায় গত ২৮ দিনে নতুন কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি, সেইসব জেলাকে গ্রিন জোনে রাখা হয়েছে। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে নতুন কোনও সংক্রমের খবর না পাওয়া গেলে লকডাউন শিথিল করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ১৭৮, মৃত ১২
পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে শনিবার সন্ধেয় প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৮। করোনা মুক্তি হয়েছে ৬২ জনের। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২।