রাজীবের সঙ্গে বৈঠকে মিলল কি রফাসূত্র, মমতার দরবারে জিইয়ে রইল জল্পনা
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু রফা সূত্র কি মিলল! পার্থবাবু রাজীবের সঙ্গে আলোচনার নির্যাস পাঠাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু রফা সূত্র কি মিলল! পার্থবাবু রাজীবের সঙ্গে আলোচনার নির্যাস পাঠাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই পরবর্তী আলোচনাতে স্থির হবে রাজীবের গতিবিধি। রাজীব ও পার্থ উভয়ই আগামী আলোচনার দিগনির্দেশ দিয়েছেন।
কী প্রস্তাব রাখলেন রাজীব, জল্পনা তুঙ্গে
কিন্তু কী কথা হল তাঁদের, কী প্রস্তাবই বা রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? কোথায় তাঁর ক্ষোভ ছিল, তা কি আদৌ প্রশমিত হল? তৃণমূলই বা কী ভাবছে, এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে বৈঠকের পর। কেননা রাজীব সাফ জানিয়েছেন, ক্ষোভ থাকতেই পারে, তা প্রশমন করতে হবে আলোচনার মাধ্যমেই।
তৃণমূলে রাজীবের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা
সূত্রের খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু হয়েছে তৃণমূলের। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন আরও সাংগঠনিক দায়িত্ব। সঙ্গে মন্ত্রিত্ব। মন্ত্রিত্ব আছে, থাকবেও। কিন্তু তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব কতটা বাড়ে, তৃণমূল তাঁকে ধরে রাখতে কতদূর এগোয়, তার উপরই নির্ভর করছে তৃণমূলে রাজীবের ভবিষ্যৎ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদনের অপেক্ষা!
শুভেন্দুর মতো রাজীবের দাবিদাওয়াো মমতার দরবার পর্যন্ত গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী অনুমোদন করেন, তা-ই এখন দেখার। শুভেন্দু ক্লোজড চ্যাপ্টার ধরে নিয়েই এগোচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল চাইছে না একুশের আগে দলে ভাঙনরেখা প্রসারিত হোক। তাই রাজীবের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।
রাজীব কী চাইছেন আর তৃণমূল কতটা কী দিতে পারে!
প্রশ্ন কী অঙ্কে রাজীবের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচবে। রাজীব কী চাইছেন আর তৃণমূল কতটা কী দিতে পারবে, সেই অঙ্কই এখন ঘোরাফেরা করছে। রাজীব বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়- কেউই এ বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, অখণ্ড জেলা সভাপতির দায়িত্ব নিতে তিনি পিছপা নন বলে জানিয়েছেন। বা অন্য কোনও গুরুদায়িত্ব দিলেও তিনি রাজি। কিন্তু বড় কোনও পদ বা দায়িত্ব চান রাজীব, এমনই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে।
ফের রাজীবের সঙ্গে বসবে তৃণমূল!
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বার্তা এলেই ফের রাজীবের সঙ্গে বসবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজীব অবশ্য পুরো বিষয়টিই এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ছেন, ক্ষোভ থাকতেই পারে। তা নিয়ে আলোচনা করতে মহাসচিবের ডাকে এসেছিলাম। তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে, একজন সদস্য হিসেবে মহাসচিবের ডাকে বৈঠকে বসতেই পারি। তিনি জানান আগামী দিনের রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে।