শুভেন্দুর মোকাবিলায় তৃণমূলের মুখ সুজাতা! কেন ইউএসপিতে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রীকে পছন্দ
ছিলেন বিজেপি নেত্রী। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বিজেপিতে যোগ দিতেই তিনি সোজা চলে যান তৃণমূল ভবনে। এখনও সেই সুজাতা মণ্ডল খাঁই (sujata mondal khan) গ্রামে সভা করে বেড়াচ্ছেন। তাঁর প্রত্যেক কথাতেই হাতে তালি দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু হঠাৎই কেন সুজাতাকে বেছে নিল ঘাসফুল শিবির, উঠে আসছে নানা কারণ।


পাল্টা স্রোতে তৃণমূলে
একনাগারে যখন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পালা চলছে একেবারে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকদের, সেই সময় পাল্টা স্রোতে তৃণমূলে যোগদান করেছেন সুজাতা। পদ না পাওয়া নিয়ে একটা অশান্তি ছিলই খাঁ পরিবারে। তাঁর আঁচও পেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে তিনি যে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। ফলে তৃণমূলও তাঁকে বরণ করে নিয়ে মর্যাদা দিয়েছে। যেখানে তৃণমূলের সভায় হাতে তালি সেরকম পড়তই না, এখন সেই পূর্বস্থলীই হোক কিংবা ধনিয়াখালি, সুজাতার কথা পড়ছে হাতে তালি। তিনিই তৃণমূলে প্রথমসারির মুখ হয়ে উঠেছেন।

সুজাতা সক্রিয় রাজনীতি বোঝেন
বিজেপিতে কোনও পদ না থাকলেও, মিছিলে মিটিং-এ সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল সুজাতা মণ্ডল খাঁকে। ফেসবুকেও তিনি খুবই সক্রিয় ছিলেন। ফলে সেই ধরনের কোনও নেতা কিংবা নেত্রী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলে তাদের লাভ হতে পারে বলে ধরেই নিয়েছিল তৃণমূল। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুজাতা সক্রিয় রাজনীতিটা ভালই বোঝেন, যা তিনি আগেই প্রমাণ করেছেন।

লোকসভা নির্বাচনে সৌমিত্রের কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সুজাতা
২০১৯-এর শুরুতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মার্চেই বিষ্ণুপুর থেকে বিজেপির টিকিট। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার একের পর মামলা করায়, তিনি বিষ্ণুপুরে ঢুকতেই পারেননি। সেই সময় গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সৌমিত্রের হতে পরিচালনা করেছিলেন সুজাতাই। সভা সমাবেশে, এখনকার মতোই তিনি বক্তৃতা করেছিলেন। ফলে তৃণমূলের যোগ দেওয়ার পরে সুজাতার অবদানকে স্মরণ করেও সৌমিত্র বলেছিলেন, সুজাতার পাশে ছিল বিজেপির একটা বড় টিম, কর্মী সমর্থকরা।

জানেন বিজেপির ঘরের খবর
একদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার দুদিন পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যএাগ দেন সুজাতা। ধারে, ভারে শুভেন্দু অধিকারীর ধারে কাছে না আসলেও, সেই সুজাতাই শুভেন্দুকে আক্রমণের জন্য বেছে নেয় তৃণমূল। যেখানেই তিনি যাচ্ছেন, সেখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ধান্দাবাজ বলে আক্রমণ করে হাতে তালি পাচ্ছেন। ভাইপো হওয়া কি অপরাধ, প্রশ্ন তুলছেন তিনি। যা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের খুবই পছন্দ হয়েছে। সঙ্গে বলছেন দুর্দিনে তিনি দল করতে এসেছেন। যেমনটা করেছিলেন বিজেপিতে যোগ দিয়ে। শুভেন্দু অধিকারী যেমন তৃণমূলের হাঁড়ির খবর জানেন, ঠিক তেমনই সুজাতাও বিজেপির হাঁড়ির খবর জানেন। সেই পরিস্থিতিতে স্বামীর পরিচয়ে বড় না হয়ে ওঠার সিদ্ধান্তকে নেওয়া নেত্রীকেই বেছে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।