আজও রীতি মেনে রায়চৌধুরী বাড়ির পুজোতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয় আদি গঙ্গার ঘাট থেকে
প্রায় তিনশো বছরের গৌরবময় ঐতিহ্য আজও ম্লান হয়নি। রীতি মেনে আজও নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় বারুইপুরের রায়চৌধুরী জমিদার বাড়িতে।
প্রায় তিনশো বছরের গৌরবময় ঐতিহ্য আজও ম্লান হয়নি। রীতি মেনে আজও নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় বারুইপুরের রায়চৌধুরী জমিদার বাড়িতে। এখন জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত। সেই আগের রীতি রেওয়াজ চালু নেই। কিন্তু কোনও অংশে খামতি নেই রায়চৌধুরীদের বনেদিয়ানায়। দক্ষিণ কলকাতা সংলগ্ন জেলা বারুইপুরের এই রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো এই জেলার অন্যতম।
এক সময় জেলার বাবুদের বাড়ির পুজোগুলোর মধ্যে এই পুজো হত ঢাল ঢোল পিটিয়ে, গৌরবের সঙ্গে। সেই থেকেই এই পুজো নজর কাড়ে সকলেরই। আজ জমিদারি প্রথা না থাকলেও প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে সেই জৌলুস নিয়ে আজও অমলিন বারুইপুরে রায়চৌধুরী বাড়ির পুজো।
দুর্গাপুজোর সমস্ত ছবি দেখুন এখানে
সরকারিভাবে নীলকন্ঠ পাখি ধরা ও দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের পর তা ওড়ানোর আইন বিরোধী। এনিয়ে পরিবেশ আদালতের ও একাধিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চৌধুরীরা মনে করেন তাদের পুজোর প্রধান বিশেষত্ব এই নীলকণ্ঠ পাখি। বাড়ির পুজোর দশমী বিসর্জনের পর নীলকন্ঠ পাখি ওড়ালে সে গিয়ে কৈলাসে ভগবান শিবকে খবর দেবে মা দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাস এর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকে আজও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার ঘাট থেকে নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই আদি জমিদার রায়চৌধুরীরা।
এছাড়াও
এই
পুজোর
অন্যতম
বিশেষত্ব
হল,
মহালয়ার
পরদিন
অর্থাৎ
প্রতিপদ
থেকে
শুরু
হয়ে
যায়
দেবীর
আরাধনা।
এখনও
সপ্তমী
ও
অষ্টমীতে
হয়
চাল
কুমড়া
বলি।
নবমীতে
হয়
পাঠা
বলি।
১৯৫৪
সালে
জমিদারি
প্রথা
উঠে
যায়।
জমিদারদের
সেই
জমিদারী
আজ
আর
নেই
কিন্তু
মাতৃবন্দনা
রীতি
রেওয়াজ
এখনও
আগের
মতোই।
এখনও
জমিদারদের
দালানে
তৈরি
হয়
মাতৃ
প্রতিমা।
ইতিমধ্যেই সেই মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বংশ পরম্পরায় কারিগর তৈরি করেন দেবী দুর্গার মূর্তি। পুজোর ক'টা দিন দেশ বিদেশ থেকে সব আত্মীয় স্বজনরাই আসেন এখানে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও বহু মানুষ আসেন এই চৌধুরীদের বাড়ির পুজো দেখতে। এলাকার মধ্যে এই রায়চৌধুরীদের বাড়ির ঠাকুর প্রথম বিসর্জন দেওয়া হয়। তারপর একে একে বাকি বাড়ির পুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় বহুদিন ধরেই এই রীতি চলে আসছে পুজো শুরুর দিন থেকেই নিজেদের বনেদি আনার মতো সমস্ত নিয়ম নীতি ও নির্ঘণ্ট মেনে চলে এই পুজো।