আগামী ৪০ বছর পাশে থাকার অঙ্গীকার, সেদিন মোদীকে কানে কানে কী বলেছিলেন জুলফিকর?
টুপি পরা এক ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদীর কানে কানে কিছু বলছেন। গত ৩ এপ্রিল সোনারপুরে প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতা। সেখানেই ক্যামেরা বন্দি হয়েছিল এই ছবিটি। আর এই একটি ছবি সারা দেশে ঝড় তোলে। রাজ্যের সংখ্যালঘুরাও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়েছে, সেই ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়েছিল সেই একটি ছবিতেই। সেই ছবিতে মোদীর কানে কানে যিনি কথা বলছিলেন তিনি কে? কী বলছিলেন তিনি?
ভাইরাল ছবিতে থাকা ব্যক্তির নাম জুলফিকর আলি
জুলফিকর আলি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই ভাইরাল হওয়া ছবিতে তিনি ছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর কানে কানে কী বলছিলেন জুলফিকর? এই প্রশ্নের জবাবে এক সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে এটাই বলেছিলাম, যে তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তুলতে চাই আমি।' উল্লেখ্য, জুলফিকর দক্ষিণ কলকতা সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি।
বিজেপির 'ফোটো-অপ'?
মোদী-জুলফিকরের ছবি নিয়ে বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ তোলে যে সেটি 'ফোটো-অপ' ছিল। ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি, এই অভিযোগ তুলেও সরব হয় বিরোধী দলগুলি। তবে এই সব অভিযোগ, প্রশ্নকে মাঠের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেন জুলফিকর আলি। পাশাপাশি মোদীর সঙ্গে তাঁর সাকক্ষাতের বিবরণও দেন জুলফিকর।
বিজেপির সঙ্গে যুক্ত জুলফিকর
একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে জুলফিকর বলেন, 'হ্যাঁ, আমি বহুদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। সেই ছবিতে যেই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কানে কানে কথা বলছে, সেটা আমি। তবে বিজেপির হয়ে কাজ করলেও কোনওদিন ভাবিনি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হবে। আমি ওনাকে স্যালুট করি, তিনি পাল্টা অভিবাদন জানান আমাকে।'
৪০ সেকেন্ডের কথোপকথনে ৪০ বছর পাশে থাকার অঙ্গীকার
তো ৪০ সেকেন্ড ধরে চলা সেই কথোপকথনে কী কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী এবং জুলফিকরের মধ্যে? জুলফিকর বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আমাকে আমার নাম জিজ্ঞেস করেন। তিনি আমাকে তারপর প্রশ্ন করেন যে আমি কিছু চাই কি না। আমি তাঁকে জানাই যে আমি বিধায়ক বা কাউন্সিলর পদের টিকিট চাই না। আমি শুধু ওনার সঙ্গে একটি ছবি তুলতে চাই। এরপর আমরা একটি ছবি তুলি। ৪০ সেকেন্ড কথা হয়েছিল আমাদের মধ্যে। আমি ওনার সঙ্গে পরবর্তী ৪০ বছর থাকব।'
টুপি পরা নিয়ে বিতর্কে জল ঢাললেন জুলফিকর
এদিকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে জুলফিকরের টুপি পরা নিয়ে বিতর্ক শুরু করে বিরোধীরা। সেই ছবি প্রসঙ্গে জুলফিকর বলেন, 'এটা আণার ভোটার আইডি, এখানে আমার নাম, আমার ধর্ম রয়েছে। টুপি পরা মানেই কেউ মুসলিম হয়ে যায় না। অনেককেই দেখি মুসলিম না হওয়া সত্ত্বেও তারা টুপি পরে। সেদিন আমার টুপিটি পকেটে ছিল। আমি সেটা পরেছি। এতে বিতর্কের কিছু নেই।'