বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট বিতর্ক : নিয়ম মেনে আবেদন করলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা, জানাল হাইকোর্ট
মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটের অশান্তি নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি কাউন্সিলররা।
মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটের অশান্তি নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি কাউন্সিলররা। নিয়ম মেনে আবেদন করলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বনগাঁ পুরসভার ১২ জন বিরোধী কাউন্সিলরের আনা মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও তিন জন বিরোধী কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবেন বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
পাশাপাশি বিচারপতির আরও নির্দেশ, সাত দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।কিন্তু গতকাল সেই নির্বাচনকে ঘিরে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় সেখানে। সেখানের বিজেপি কাউন্সিলরদের অভিযোগ, তারা নির্বাচনে অংশ্রহণের সুযোগ পাননি। এই অভিযোগে বুধবার আদালতের উল্লেখ পর্বে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষণ বিজেপি কাউন্সিলররা।
বিচারপতিকে তাঁদের আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে অশান্তি। ঢুকতে পারেননি বিজেপি কাউন্সিলররা। পুলিশও কিছু করেনি। নীরব দর্শক ছিল। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, 'নিয়ম মেনে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে আদালত।'
উল্লেখ্য, পুরসভার চেয়ারম্যান পদের অনাস্থা এনে সেখানের বিরোধী ১২ কাউন্সিলরের দাবি ছিল, 'এই চেয়ারম্যানের তাঁর পদে থাকার কোনও অধিকার নেই। কারণ যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর তাঁর নেই। তাই নতুন পুরবোর্ড গঠন হোক।'
এছাড়াও তাঁরা আরও জানান, এই চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে অপসারণ করা হোক। সম্প্রতি বেশ কিছু কাউন্সিলর একজোট হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। কিন্তু তাও খারিজ করে দেওয়া হয়। এই পুরসভায় রাজ্য সরকার প্রশাসক বসাতে পারে এই আশঙ্কা করছেন কাউন্সিলররা।
তাই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। যাতে জনসাধারণের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায় নির্বাচিত বোর্ডের মাধ্যমে। এরই প্রেক্ষিতে মামলার গত শুনানিতে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় স্থিতাবস্থা জারি করেছিলেন অর্থাৎ রাজ্য সরকার কোনও প্রশাসক বসাতে পারবে না।
তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভায় মোট ২২টি ওয়ার্ড। গত পুরভোটে নির্দল এবং সিপিএম পেয়েছিল একটি করে আসন। বাকি ২০টি আসন তৃণমূলের দখলে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: সোপরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের ভয়াবহ সংঘর্ষ! বন্ধ স্কুল, বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট]