বাংলার একুশের ভোট প্রশান্ত কিশোরের জন্য কোন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে, ইতিহাস থেকে পরিসংখ্যান একনজরে
বাংলার একুশের ভোট প্রশান্ত কিশোরের জন্য কোন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে, ইতিহাস থেকে পরিসংখ্যান একনজরে
সারা দেশে ২০২১ সালে একাধিক জায়গায় বিধানসভা ভোট সংগঠিত হচ্ছে। তবে ক্রমেই নজর কাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে হ্যাট্রিকের হাতছানি এনে দিচ্ছে। আর সেই হাতছানির মাঝে মমতার তাবড় ভোট-কাণ্ডারী প্রশান্ত কিশোর। দেশের ভোট-চাণক্য হিসাবে পরিচিত এই স্ট্র্যাটেজিস্টের কাছে বাংলার ভোটে কোন কোন চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে, তা দেখে নেওয়া যাক।
জনমত সমীক্ষা ও প্রশান্তের সামনে চ্যালেঞ্জ
প্রসঙ্গত, টাইমস নাও -সিভোটারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৬২ ও বিজেপি ১১২ টি আসন পেতে চলেছে। এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে দুই পার্টির ভোট শতাংশের পারাক ৪.৭। প্রশান্ত কিশোর নিজেও জানিয়েছেন, বিজেপিকে যদি জয়লাভ করতে হয় তাহলে ভোট শতাংশ বাড়াতে হবে। তিনি এও বলেন যে বিজেপি বাংলায় ১০০ এর বেশি আসন পাবে না। এটি ছিল তাঁর চ্যালেঞ্জ। তবে, বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিজেপি ১০০টির বেশি আসন ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর ভোটের সেই ছবি ফুটে উঠলেও প্রশান্তের সামনে তা ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে বড় ধাক্কা হতে পারে।
প্রশান্ত , ইতিহাস ও বাংলার যুদ্ধ
বাংলায় বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে যাঁদের বিরুদ্ধে পারদ চড়াচ্ছেন, সেই মোদী ও শাহের হয়ে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছিলেন প্রশান্ত। ফলে সেদিক থেকে বিপক্ষের পিচ তাঁর চেনা। তবে ইতিহাস বলছে, উত্তরপ্রদেশে প্রশান্ত যখন ২০১৭ সালের রাহুল ও অখিলেশের হয়ে স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে এগিয়ে ছিলেন তিনি , সেই সময় তাঁর ' ইউপিকে লড়কে' স্লোগান চরম ভাবে ফ্লপ হয়। প্রসঙ্গত, স্থানীয় আবেগকে ধরে ২০২১ বাংলার ভোটেও প্রশান্ত 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়' স্লোগানে পারদ চড়াতে শুরু করেছেন। তবে এর প্রভাব ইভিএমে কতটা পড়বে তা বলবে ২রা মে।
জেডিইউর অন্দরে কোন্দল থেকে তৃণমূলে ভাঙন, প্রশান্ত ফ্যাক্টর
প্রসঙ্গত, বিহারে নীতীশ কুমারকে এককালে ভোট বৈতরণী পার করিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এরপর নীতীশের জেডিইউতে তিনি যোগ দিয়ে রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেন। তবে পার্টির প্রধান আরসিপি সিংয়ের সঙ্গে প্রশান্তের সংঘাত বাড়ে বলে শোনা যায়। আর তার পর থেকে নীতীশ শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। এদিকে, মমতার হয়ে ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবেও প্রশান্তের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী সহ বহু নেতার দূরত্বের খবর আসে। যার ফলে তৃণমূলে বড় ভাঙনও দেখতে পাওয়া যায়। পর পর দুই রাজ্যে রাজনৈতিক দলে এমন ভাঙনের পর প্রশান্তের কাছে পাঞ্জাব কংগ্রেসের হয়ে ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসাবে কাজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম মেগা ডুয়েল ও প্রশান্ত
মূলত, প্রশান্ত কিশোরের সামনে শুধু বাংলার মসনদে তৃণমূলের সরকার এনে দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ নয়, নন্দীগ্রামের বুকে শুভেন্দুকে পরাস্ত করে মমতার বিজয়রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবত পিকের কেরিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
অনলাইন ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই সংস্থা! হোলিতে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত অফার
নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে রাখা হচ্ছে বহিরাগতদের, 'প্রমাণ' হাতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনে ডেরেক