জন্ম নিল পশ্চিমবঙ্গের ২০তম জেলা আলিপুরদুয়ার
নতুন জেলার জন্ম উপলক্ষে এ দিন গোটা আলিপুরদুয়ার শহর ও সংলগ্ন এলাকায় কার্যত উৎসব হয়েছে। রং বাহারি পতাকা, ফেস্টুনে মুড়ে ফেলা হয় গোটা শহর। মুখ্যমন্ত্রী আসতে তাঁকে শাঁখ বাজিয়ে ও উলু দিয়ে বরণ করা হয়। আলিপুরদুয়ার জেলার জন্মদিন উপলক্ষে কাটা হয় কেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এ বার উন্নয়ন হবে এই এলাকার। সাধারণ মানুষকে আর কাজের জন্য জলপাইগুড়ি ছুটতে হবে না। এই জেলায় রইল রাজাভাতখাওয়া, জলদাপাড়া, চিলাপাতা ইত্যাদি বিখ্যাত পর্যটনস্থল। রইল ৬৭টা চা বাগান। শিল্পপতিদের বলব, এখানে বিনিয়োগ করুন।"
আরও
পড়ুন:
রাজনীতির
কারণেই
ভাগ
জলপাইগুড়ি
জেলা?
উঠছে
প্রশ্ন
আরও
পড়ুন:
অনেক
পর্যটনস্থল,
চা
বাগান
যাচ্ছে
আলিপুরদুয়ারে,
রাজস্ব
হারাবে
জলপাইগুড়ি
এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত জেলার পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল এবং জেলাশাসক অ্যালিস ভাজ। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত মানুষজনের আলাপ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি জেলাকে প্রথম দিন থেকে গড়ে তুলতে হবে। তাই এঁদের দু'জনের ওপর বিপুল দায়িত্ব রইল।
এদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলা গঠিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ জলপাইগুড়ি মহকুমার মানুষজন। তাঁদের মতে, স্বাধীনতার সময় জলপাইগুড়ির একটা অংশ চলে গিয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। আবার ছোটো হল জেলার আয়তন। এই ভাগাভাগি না করে জিটিএ মডেলে আলিপুরদুয়ারকে বিকশিত করা যেত বলে মত জলপাইগুড়ি মহকুমার মানুষের।