'বিজেপি ক্ষমতায় আসলে উনি কি আমাদের দলে আসতেন', রাজীব ইস্যুতে প্রশ্ন রাজ্যের মন্ত্রীর
'বিজেপি ক্ষমতায় আসলে উনি কি আমাদের দলে আসতেন', রাজীব ইস্যুতে প্রশ্ন রাজ্যের মন্ত্রীর
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন রাজীব। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে কার্যত বিভিন্ন জায়গাতে দরবারও শুরু করেছেন। আর তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা শুরু হতেই বিক্ষোভের আঁচ আছড়ে পড়েছে রাস্তায়। আজ মঙ্গলবারও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গাতে পোস্টার পড়েছে রাজীবের নামে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডোমজুড়বাসীর নামে এই পোস্টারগুলি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিক রাজীবের দলে ফেরানো নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ও।
মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালাগালি করার অভিযোগ
নাম না করে এবার রাজীবকে প্রতারক মিথ্যাবাদী বিশ্বাসঘাতক বলে তীব্র আক্রমণ করলেন অরূপ রায়। বললেন, যিনি ( রাজীব ) ক'দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালাগালি করেছেন, দলের নামে গাল দিয়েছেন, আজকে উনি পায়ে ধরছেন। এদের লজ্জাও নেই। নাম না করেও রাজীব প্রসঙ্গে ওই মন্তব্য করেন অরূপ রায়। অরূপ রায় সাংবাদিকদের বলেন, "প্রতারক মিথ্যাবাদী বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে এতো মাতামাতির দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নামে অনেক কটুক্তি উনি করেছেন। তার প্রমাণ রয়েছে। নানা ধরণের মিথ্যা কথা উনি বলেছেন। এখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পায়ে ধরছেন। এদের লজ্জাও নেই। তীব্র আক্রমণ অরূপবাবুর।
বিজেপি আসলে উনি তৃণমূলে ফিরতেন?
যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসত তাহলে কি উনি আমাদের দলে আসতেন। প্রশ্ন রাজ্যের মন্ত্রীর। তিনি আরও বলেন, যিনি ক'দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালাগালি করেছেন, দলের নামে গাল দিয়েছেন, আজকে উনি পায়ে ধরছেন। ওকে নিয়ে এতো মাতামাতি করার দরকার নেই। উনি কার কাছে গেছেন না গেছেন তাতে কিছু যায় আসে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তো উনি যাননি। সুতরাং, দল কাকে নেবে না নেবে দলের ব্যাপার। দল সিদ্ধান্ত নেবে কাকে দলে নেওয়া হবে। কিন্তু আমরা এই বেইমান বিশ্বাসঘাতকদের যারা কঠিন সময়ে মাকে ছেড়ে চলে যায় তাদেরকে আমরা কোনওদিন ক্ষমা করব না। হাওড়ার লাখো লাখো কর্মী ক্ষমা করবে না।"
তিন বছর ঘুমোতে দেবো না।
নির্বাচনের একমাস যেতে না যেতেই ওনার কী হাল হয়েছে দেখুন! চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নাম না করে এভাবেই রাজীবকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই তো বলেছিলাম তিরিশ হাজার ভোটে হারাবো। আর তিন বছর ঘুমোতে দেবো না। এক মাস হতে না হতেই ওনার কি হাল হয়েছে দেখুন। ঘুম চলে গিয়েছে। চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে তোপ সাংসদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নাম না করেই সাংসদ আরও বলেন, "আজকে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে উনি বড় বড় কথা বলছেন। যিনি দেড় মাস আগে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এলাকায় লোকেদের নিয়ে মিছিল করে সেখানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।
কুণাল-রাজীব সাক্ষাৎ
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ভরাডুবির পর দলবদলু নেতারা ফের বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ( তৃণমূল ) আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে যোগ দিয়েছেন। এরপরই কুণাল ঘোষের বাড়িতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দুতরফেই দাবি করা হয় সেটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। এরপর রাজীব যান তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। রাজীবের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এমনিতেই বেশ কিছুদিন থেকে শোনা যাচ্ছিল রাজীব এবার তাঁর পুরনো দলেই ফিরবেন। এরপর তাঁর কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেই জল্পনাকে আরও জোরালো করেছে। যদিও রাজীবের কেন্দ্র ডোমজুড়ে এই নিয়ে বিক্ষোভ অবরোধ চলছে। রাজীবের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। তৃণমূল কর্মীরা দাবি করেছেন 'গদ্দার' 'মীরজাফর' রাজীবকে যেন দলে ফেরানো না হয়। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন হাওড়ায় সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী অরূপ রায়।
শুভেন্দুকে জানালেও উত্তর দেননি, আহত বিজেপি কর্মীর ছবি রিটুইট করে অন্তর্কলহ ফের সামনে আনলেন তথাগত