রাজ্যের ১০৮ পুরসভা ভোটে গণনার দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন, রইল বিস্তারিত
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলার ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন। সেই মতো জোর প্রস্তুতি চলছে। জোরকদমে ১০৮ পুরসভায় ভোটের জন্যে চলছে ডান-বাম রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। তবে ভোটের দিন ঘোষণা হলেও কবে ভোট গণনা হবে এই পুরসভাগুলির তা জানানো হয়নি আ
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলার ১০৮ পুরসভায় নির্বাচন। সেই মতো জোর প্রস্তুতি চলছে। জোরকদমে ১০৮ পুরসভায় ভোটের জন্যে চলছে ডান-বাম রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। তবে ভোটের দিন ঘোষণা হলেও কবে ভোট গণনা হবে এই পুরসভাগুলির তা জানানো হয়নি আগে।
তবে আজ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২ মার্চ সব পুরসভার ভোট গণনা হবে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এই গণনা করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কোভিড বিধি মেনেই এই গণনার কাজ চলবে বলেও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের পাঁচ পুরসভায় ভোট হয়ে গিয়েছে। ভোট হয়েছে কলকাতা সহ বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল, শিলিগুড়িতে।
কলকাতার ক্ষেত্রে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর হলেও, বাকি চার পুরসভায় ভোট গ্রহণ হয়েছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি। আর গণনা হয় ১৪ তারিখ। প্রত্যেকটিতেই তৃণমূলের বিপুল জয় হয়। রাজ্যের পাঁচ পুরসভার ভোট গ্রহণ হলেও বাকি পুরসভার ভোট নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিলই।
তবে চলতি মাসের তিন তারিখ রাজ্যের বকেয়া ১০৮ পুরসভার জন্যে দিন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভোটের গণনা কবে হবে সে বিষয়ে কোনও তারিখ ঘোষণা হয়নি। তবে আজ বুধবার এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী দুই তারিখ মার্চ মাসের ফল ঘোষণা হবে।
কমিশনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ১০৮ পুরসভায় মনোনয়ন জমা হয়ে গিয়েছে। এমনকি প্রত্যাহারও হয়ে হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা ছিল। আর তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে জোরদার প্রচারের পালা।
তবে একাধিক পুরসভাতে ভোটের আগেই জয় পেয়েছে শাসকদল। বিরোধী শূন্য হওয়াতে ভোট হচ্ছে না বেশ কয়েকটি পুরসভার ক্ষেত্রে। তবে এই বিষয়ে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
এমনকি কোথায় মনোনয়ন কেড়ে নেওয়া হয়েছে আবার কোথায় জমা দিতে দেওয়াই হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি তুলেছে বিরোধীরা। যদিও রাজ্য পুলিশেই আস্থা কমিশনের। এমনকি পাঁচ পুরসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশ ভালো কাজ করেছে বলে দাবি প্রশাসনেরও।
যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়। মামলা বিচারাধীন। এই বিষয়ে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।