কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থানের পথে বাংলা! সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করাতে সোমবার বসছে অধিবেশন
কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থানের পথে বাংলা! সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করাতে সোমবার বসছে অধিবেশন
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করাতে সোমবার বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। এব্যাপারে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব গ্রহণ করবেন তারা। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর দুটোয় সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তাব পাশ কেরল বিধানসভায়
রাজ্যগুলির মধ্যে কেরলের বাম শাসিত সরকার বিধানসভা সর্বপ্রথম সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করিয়েছিল। সর্বসম্মতিতে পাশ করানো হয়েছিল সেই প্রস্তাব। বিরোধী কংগ্রেস সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল।
একই পথে হাঁটে পঞ্জাব এবং রাজস্থান
সিএএ-র বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে পঞ্জাব এবং তৃতীয় রাজ্য হিসেবে রাজস্থান সিএএ নিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। ১৭ জানুয়ারি পঞ্জাব বিধানসভায় পাশ করানো হয়েছে এই প্রস্তাব। শনিবার রাজস্থান বিধানসভায় প্রস্তাব পাশের সময় শাসক বিরোধী তরজা লেগে যায়। যদিও পর্যন্ত এই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।
রাজ্যে বিরোধীরা প্রস্তাব দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি
বাম ও কংগ্রেস সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব আনার দাবি তুলেছিল রাজ্য বিধানসভায়। ৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের জানিয়েছিলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়ে বিধানসভায় কোনও আলোচনা হবে না। সেদিন বাম ও কংগ্রেস প্রস্তাব দিয়েছিল সব দল একসঙ্গে বিধানসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনুক। সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন ছিল, কেন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসার আগে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় নেওয়া হল না। প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসেছিলেন ১১ জানুয়ারি। ওইদিন রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের কথা
গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ২৭ জানুয়ারি সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনা হবে। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর দুটোয় সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
অর্থনীতি থেকে বিপক্ষের রাজনীতি প্রসঙ্গে সাহিত্য সম্মেলনে অভিজিতের কণ্ঠে কোন জোরালো বার্তা