পশ্চিমবঙ্গে আনলক ১.০ -র শুরুর সপ্তাহেই করোনা গ্রাসে মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ! প্রবল আতঙ্ক
পশ্চিমবঙ্গে আনলক ১.০ -র শুরুর সপ্তাহেই করোনা গ্রাসে মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ! প্রবল আতঙ্ক
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়ের দরজা খুলেছে আনলক ১.০ দিয়ে । দেশে আনলক ১.০ এক সপ্তাহ পার করেছে। এদিকে, এই এক সপ্তাহের মধ্যে করোনার জেরে বাংলার পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়েছে।অন্যদিকে, ৮ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে, ফলে অস্বস্তি ও আতঙ্ক অব্যাহত।
পরিসংখ্যান কী বলছে?
পরিসংখ্যান বলছে, আনলক ১.০ এর প্রথম সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গে ২,৮৬৮ টি কোভিড কেসের সন্ধান মিলেছে। যা মোকরোনা আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ। ফলে এই পরিসংখ্যান সঙ্গে নিয়ে ৮ জুন থেকে যেভাবে রাজ্যে সমস্ত কিছ খুলে দেওয়া হচ্ছে, তাতে রীতিমতো অস্বস্তি ও উদ্বেগে রাজ্যবাসী।
পশ্চিমবঙ্গ ঘিরে কয়েকটি পরিসংখ্য়ান
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্তকে পাওয়া যায় ১৭ মার্চ। রাজ্যসরকারের আমলার ছেলের আক্রান্ত হওয়া, ও সেই রোগ নিয়ে শপিং মল-এ ঘুরে বেড়ানোর ঘটনায় বাংলা তোলপাড় হয়। এরপর ৩১ মে ৫,৫০১ টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটে গিয়েছে দেশে। এরপর রবিবার সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮,১৮৭ টিতে।
ভয়ানক পরিস্থিতি কলকাতায়
রাজ্যে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকায় এগিয়ে রয়েছে, কলকাতা। সেখানে ৬৩৩ টি কোভিড কেস গত এক সপ্তাহে মিলেছে। উল্লেখ্য়, এই শহরেই বেশিরভাগ অফিস ও কল কারাখানা। ৮ জুন থেকে সেই সমস্ত অফিস খুলে যাওয়ায় উদ্বেগ দ্বিগুণ।
অন্যান্য জেলার পরিস্থিতি কেমন?
কলকাতার পরই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হাওড়ায়। সেখানে ৩৯০ জনের কোভিড পজিটিভ হওয়া র খবর এসেছে গত এক সপ্তাহে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৬৩ টি কোভিড কেস রয়েছে। এরপরই রয়েছে হুগলি। সেখানে ২৯৩ টি কোভিড কেস রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪২ টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। খুব দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে রাজ্যে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরিস্থিতি এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে ,তা ভয়াবহ আকার নেবে। পরিস্থিতি ভালো নেই বাঁকুড়া, বীরভূম , পুরুলিয়া ও দার্জিলিং এও।
ভার্চুয়াল জনসভার নামে চলছে টাকার খেলা, ১৫০ কোটি টাকা খরচের অভিযোগ অমিত শাহের বিরুদ্ধে