তারকেশ্বরের মেঠো জমিতে পদ্ম ফোটানোর অঙ্ক, বাংলার 'রোগ' ধরিয়ে দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত
হুগলির তারকেশ্বরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। সাদা পাঞ্জাবী এবং গেরুয়া উত্তরীয় পরে এখন তারকেশ্বরের কাদা মাখা রাস্তা চষে বেরাচ্ছেন এই বিজেপি নেতা। এই প্রচার চলাকালীনই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন স্বপন দাশগুপ্ত। সেই সময়ই তিনি মন্তব্য করেন, বাংলার সবথেকে বড় সমস্যা হল দুর্নীতি।
'পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে খুবই তিতি বিরক্ত'
এদিন সংবাদমাধ্যমকে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে খুবই তিতি বিরক্ত। যা মানুষের প্রাপ্য, তা তারা পাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির ইস্যুটি এক নম্বর সমস্যা।' আমফানের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন স্বপন দাশগুপ্ত খোঁচা দেন শাসক দলকে।
কাটমানি ইস্যুতে খোঁচা
এদিন স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'একটি অনুদান পেতেও টাকা দিতে হয়। ৫০-৬০ হাজারের কোনও অনুদান পেতে হলে ওরা বলে যে আমাদেরকে ২০ হাজার টাকা দিন, তাহলে আপনি আপনার অনুদানের টাকা পেয়ে যাবেন। এটা ভুল। গরিব মানুষের পকেট থেকে এভাবে টাকা কেড়ে নেওয়া উচিত নয়। রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়ে এরকম অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছে যাদের কাছে আগের থেকে প্রচুর টাকা রয়েছে।'
ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি
স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'আমফানের সময় পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে ত্রাণ পাওয়া নিয়ে দুর্নীতি দেখা দিয়েছে, তার জেরে এটা সবথেকে বড় ইস্যু হয়ে দেখা দিয়েছে। এছাড়া আদিবাসী বা দলিত অধ্যাষিত গ্রামগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডারদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ওরা বাইকে এসে সবাইকে ভয় দেখিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। গ্রামের মেয়েরা বারংবার এটা নিয়ে অভিযোগ করেছে।'
বিজেপির পক্ষে জনমত তৈরি হচ্ছে
এদিকে বিজেপি যেভাবে অল-আউট আক্রমণে বাংলা দখলের ছক কষেছে তা নিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'আমরা প্রতিদিনই আরও জনমত তৈরি করতে পারছি। প্রতিদিন হাওযা আরও আমাদের জন্য অনুকূল হচ্ছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিক, বাবুল সুপ্রিয়র মতো সাংসদরাও ভোটে লড়ছেন এবারে। আমরা কর্মীদেরও বুঝিয়ে দিয়েছি যে এবার আমরাই জিতব।'
'মানুষের উৎসাহ সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে'
স্বপন দাশগুপ্ত আরও বলেন, 'জাতীয় স্তরে বিজেপি অনেক পুরোনো দল হলেও রাজ্যের প্রেক্ষিতে আমাদের পথ চলা প্রায় নতুনই বলা চলে। গত কয়েক বছরে হঠাৎ করেই মানুষ আমাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। মানুষের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ এবং উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। আমাদের যে অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই, তা নয়। তবে মানুষের উৎসাহ সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।'
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে?
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে চোট পাওয়ায় কী তৃণমূল কংগ্রেস সুবিধা পাবে? এই প্রশ্নের জবাবে স্বপনবাবু বলেন, 'আমার এখনও এরকম কোনও মানুষের সঙ্গে দেখা হয়নি যে এই ইস্যু নিয়ে কথা বলছে।' এদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী না থাকার বিষয়টি নিয়েও খুব একটা চিন্তিত নন স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, 'সবাই চাইছে যাতে বিজেপি জিতুক। দলে অনেকেই আছেন যারা প্রশাসনিক ভাবে দক্ষ। আমি ভোটের রাজনীতিতে নতুন হলেও প্রশাসনিক বিষয়ে আমারও জ্ঞান রয়েছে।'
কাঁথিতে
প্রচারে
যাওয়া
মোদীকে
পায়ে
হাত
দিয়ে
প্রণাম
বিজেপি
নেতা
শুভেন্দু
অধিকারীর