কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, কলকাতা পুরভোটের দায়িত্বে রাজ্য পুলিশই
কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুলিশইষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে পুরভোটের জন্য ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আর ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করানোর দাবি জানিয়েছিল বিজেপি।

১৯ ডিসেম্বর কলকাতা শহরের পুরভোট। মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। এরই মধ্যে পুরভোট করানোর তোরজোর শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। করোনা টিকাকরণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে গ্রিভেন্স পোর্টালও খোলা হয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারে জোর দিয়েছে প্রার্থীরা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুরভোটের অনুশাসন নিয়ে কর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে করানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। এমনকী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে তলব করে পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুরভোটের যাতে মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এমনকী ভোটে যাতে কোনও রকম সন্ত্রাস না হয় তা সুনিশ্চিত করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল। প্রথম থেকেই তিনি ১ দফায় পুরভো
করানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার দুই দফায় পুরভোট করাতে চাইছিল। তাতে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট করানোর প্রস্তাব দেয়। বিরোধীরা তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল। তারপরেই পুরসভা ভোট নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের কথা মত যাতে নির্বাচন কমিশন না চলে তা জানিয়ে কড়া চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েই ১৯ ডিসেম্বর পুরসভা ভোট কারোনর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পুরভোট পরিচালনার মোট ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুরভোটে। তার মধ্যে ২৭ হাজার থাকবে কলকাতা পুলিশ। এবং ৫ হাজার থাকবে রাজ্য পুলিশ। কোরও সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজ করবে না। সোমবার এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করবেন প্রশাসনের সঙ্গে।
এদিকে আজ দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। িতনি কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে ববলেছেন, জোর করে ভোটদানে বাধা দিলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।'। এদিন বৈঠকে দলের ১৪৪ জন প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন টিকিট না পাওয়া নেতারা। পুরসভা ও সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে সামনে রেখে পুরভোটের প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে।