জোটে জট বাম, কংগ্রেসের! তৃতীয় বিকল্পের সন্ধানে চরম বার্তা অধীরের
জোটে জট বাম, কংগ্রেসের! তৃতীয় বিকল্পের সন্ধানে চরম বার্তা অধীরের
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল লড়াই করবে বাম কংগ্রেস জোট (left congress alliance)। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)। রাজ্যে বামদলগুলির সঙ্গে জোট বাধার ক্ষেত্রে অধীর চৌধুরীকেই সব থেকে বেশি সরব থাকতে দেখা গিয়েছে। বহরমপুরের পাঁচবারের সাসংদ তথা, লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা বাম কংগ্রেস জোটকে রাজ্যের তৃতীয় বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চান।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে পাল্টা জবাব
বিহারের ভোটের ফল বেরনোর পর সিপিআই এমএল-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছিলেন, রাজ্যের কংগ্রেসের প্রতি কোনও আনুগত্য আত্মহত্যার সামিল হবে। যার প্রেক্ষিতে অধীর চৌধুরী বলেছেন, বিহার আর বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে বামদলগুলি ৩৪ বছর শাসন ক্ষমতায় ছিল।
বিহারে কংগ্রেসের ফল
বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের তৈরি মহাজোট এনডিএ-র বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। ২৪৩ টি আসনে লড়াই করে তারা পেয়েছে ১১০ টি আসন। ৭৫ টি আসন জিতেছে আরজেডি। তারাই রাজ্যে একক বৃহত্তম দল । অন্যদিকে কংগ্রেস ৭০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ১৯ টি আসনে জয়ী হয়েছে। আর বামেরা ২৯ টি আসনে লড়াই করে পেয়েছে ১৬ টি আসন। তার মধ্যে সিপিআইএমএল পেয়েছে ১২ টি আসন। আর সিপিআই ও সিপিএম পেয়েছে ২ টি করে আসন।
রাজ্যে কংগ্রেসের স্ট্রাইক রেট ভাল
অধীর চৌধুরী বলেছেন ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। অন্যদিকে বামগুলি ২০০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ৩২ টি আসন পেয়েছিল। ফলে ২৯৪ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস বামেদের থেকে বেশি আসন পেয়েছিল। বিরোধী দলনেতা হয়েছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান।
অন্যদিকে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন। বামেরা একটিও আসন পায়নি। একটি আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে বাম প্রার্থীদের জমানত জব্দও হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর বামদলগুলির একাংশের ন্তৃত্ব বলতে শুরু করেছিলেন, কংগ্রেস সমর্থকরা বামপ্রার্থীদের ভোট দেয়নি। যদিও বাম সমর্থকরা কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দিয়েছিলেন।
বামেদের দ্বিমত থাকলেও জোট করেছে কংগ্রেস
অধীর চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেছেন, বামেদের সবসময়ই দ্বিমত রয়েছে। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করেছে। যেখানে সনিয়াজি, রাহুলজি বাম প্রার্থীদের সমর্ছনে প্রচার করেছেন, সেখানে প্রকাশ কারাতের মতো বাম নেতার কথা উল্লেখ করাই যায় না।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বিকল্প
অধীর চৌধুরী বলেছেন, একেবারে শুরু থেকেই কংগ্রেস জোটের পক্ষে মত দিয়েছে। এবং তাঁরা মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সামনে এই জোট তৃতীয় বিকল্প উপহার দিতে পারবে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন ২০২১-এর নির্বাচনে এই জোট তৃণমূলের সামনে শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে। এই জোট শুধুমাত্র নির্বাচনী জোট নয়, একটি বিকল্প আদর্শেরও, মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
যাঁরা ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসতে আবেদন
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা তৃণমূল কিংবা বিজেপিতে চলে গিয়েছেন, তাঁদের কাছে, দলে ফেরত আসার জন্য আবেদন করেছেন। দল তাঁদের মর্যাদা দেবে বলেও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস কর্মীরাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড, তা প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
বিহারের জনতা বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসে আস্থা নেই তাঁদের, বিদ্রোহের সুর কপিল সিবলের কণ্ঠে