বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়কের মুখোমুখি হবেন না , ডার আচ্ছা লাগা! কেন এমন বললেন শুভেন্দু
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (assembly) থেকে সাসপেন্ড (suspend) করা হল দুই বিজেপি (bjp) বিধায়ককে (mla) । সোমবার বাজের অধিবেশনের শুরুতেই দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুধোপাধ্যায়কে এই অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড কর
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (assembly) থেকে সাসপেন্ড (suspend) করা হল দুই বিজেপি (bjp) বিধায়ককে (mla) । সোমবার বাজের অধিবেশনের শুরুতেই দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুধোপাধ্যায়কে এই অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করেছেন।
মুলত রাজ্যপালের ভাষণের সময় অসংসদীয় কাজের অভিযোগে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এরপরেই বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়।
শুধু আজ বুধবারই নয়, বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন প্রত্যেকদিনই বিজেপির তরফে বিক্ষোভ চলবে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। ঘটনার পরেই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে বিরোধী দলনেতা বলেন, বাংলার মানুষকে এবং বিধানসভাকে অবজ্ঞা করছে শাসকদল। বিরোধী দলকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর দাবি, শাসকদল কোনও প্রথাই মানা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব চলছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তুলে ধরার সুযোগ নেই বলেও দাবি বিজেপি নেতার। এমনকি হিটলারের মতো আচরন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। শুভেন্দুর দাবি, বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, যোগী-মোদী-বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাল উত্তর প্রদেশের ফল কি হবে সবাই জানে। যোগী জিতবেন। তাই কাল বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়কের সামনে উনি আসতে পারবেন না। তাই কালকের পরিবর্তে আজই রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা শেষ করে দেওয়া হল। জানালেন শুভেন্দু অধিকারী
অন্যদিকে কারণ ছাড়াই বিজেপির দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
বলেন, কারা সেদিন রাজ্যপালকে অপমান করেছেন সবাই দেখেছে। রাজ্যপালের মতামতকেও বিধানসভাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা শালীনতা মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হওয়ার সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেছিলাম। আর সেই কারণেই সাসপেণ্ড!
শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে অধ্যক্ষের কাছে দুই বিধায়কের সাসপেন্ড তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আলোচনাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিন। কিন্তু তা শোনা হয়নি। বরং আমার বক্তব্য রেকর্ড হওয়ার পরেও লিখিত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে দাবি নন্দীগ্রামের এই বিধায়কের। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলবে। অগণতান্ত্রিক ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তবে যতক্ষণ না সাসপেনশন প্রত্যাহার হচ্ছে প্রত্যেকদিন দুই বিধায়ক লবিতে বসে প্রতিবাদ জানাবেন। আমাদের অন্যান্য বিধায়করা তাঁদের পাশে থাকবে। হাউসের মধ্যেও বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন-উত্তরে অংশ নেবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন শুভেন্দু।