জেল হাসপাতালে ভেঙে পড়েছেন ফিরহাদ! শোভন, সুব্রত এবং মদনের জন্যে মেডিক্যাল বোর্ড
গুরুতর অসুস্থ নারদা-কাণ্ডে ধৃত মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনজনেরই শ্বাসকষ্ট রয়েছে। অক্সিজেন লেভেলও ওঠানামা করছে। এই অবস্থায় তিন হেভিওয়েট নেতার চিকিৎসায় ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল এসএসকে
গুরুতর অসুস্থ নারদা-কাণ্ডে ধৃত মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনজনেরই শ্বাসকষ্ট রয়েছে। অক্সিজেন লেভেলও ওঠানামা করছে। এই অবস্থায় তিন হেভিওয়েট নেতার চিকিৎসায় ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল এসএসকেএম।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মঙ্গলবার এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়রা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ডে রাখা হয়েছে হাসপাতালের তিন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্তকে।
উল্লেখ্য সোমবার সকালে একের পর এক হেভিওয়েটের বাড়িতে অতর্কিত হানা। বুঝে ওঠার আগেই নারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর চলে দিনভর নাটক। কখনও জামিন তো আবার তা খারিজও।
শেষমেশ মধ্যরাতে নাটকের শেষ হয়। রাতে ঠাই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। কিন্তু মধ্যরাতে শরীর খারাপ হওয়াতে সগে সগে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয় তাঁদের। যদিও বুকে ব্যাথা হওয়াতে সকালে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।
লাগাতার ভোট প্রচারে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।
এরপর সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যে ধকল গিয়েছে তাতে একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সুব্রতবাবু। তবে অসুস্থতার খবর পেয়েই হাসপাতালে আসেন তাঁর আইনজীবী সহ সুব্রতবাবুর স্ত্রী, বোন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, দুপুরে রুটিন মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আসা মন্ত্রী সুব্রতকেও এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি নেওয়া হয়।
শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য নেবুলাইজার দেওয়া হয়েছে সুব্রতকে । হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সরোজ মণ্ডলের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে ওই মেডিক্যাল বোর্ড। তিনি ছা়ড়া ওই বোর্ডে রয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন এবং চেস্ট বিভাগের দুই প্রধান।
আপাতত এঁরাই তিন নেতার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকবেন। তবে প্রয়োজনে বোর্ডের সদস্য বাড়ানোও হতে পারে জানিয়েছেন পীযূষ। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সরোজ মণ্ডলের অধীনে সুব্রত এবং মদনকে ভর্তি করানো হয়েছিল।
আপাতত তাঁদের দু'জনেরই চেস্ট এক্স রে করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন নেতারই করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসএসকেএমের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি। তবে এদিন এসএসকেএমে আসেন একের পর এক তৃমুল বিধায়ক, সাংসদ।
অন্যদিকে জেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর জ্বর এসেছে বলে দাবি তাঁর আইনজীবীর। তবে গ্রেফতারের পরেই ভেগে পড়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন ফিরহাদের মেয়ে।