নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা! বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
বছরটা ২০১৬ সাল। বিধানসভা ভোটের আগে হঠাত করেই একটা স্টিং ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদদের দেখা যায় টাকা নিতে। আর এই ভিডিও ফাঁস হতেই সেসময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নামে
বছরটা ২০১৬ সাল। বিধানসভা ভোটের আগে হঠাত করেই একটা স্টিং ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদদের দেখা যায় টাকা নিতে। আর এই ভিডিও ফাঁস হতেই সেসময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নামে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী সংস্থা।
চাপ বাড়তে থাকে শাসকদলের। এরপর আদালতে মামলা হয়। হাইকোর্টর নির্দেশে সিবিআই নারদা কাণ্ডের তদন্ত করছে। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় নারদা কান্ডে নয়া মোড়। একের পর এক নাটক। গ্রেফতার রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ মোট চার হেভিওয়েট নেতা।
সোমবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়
আর এই গ্রেফতারি ঘিরে সোমবার সকাল থেকে দ্গফায় দফায় উত্তেজনার পারদ চড়ে। নেতাদের গ্রেফতারের পরেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী । কার্যত সিবিআই দফতরের ভিতরেই অবস্থান শুরু করেন। অন্যদিকে দফতরের বাইরে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষ ছড়িয় পড়ে। সকাল থেকে ভিড় বাড়তে থাকে নিজাম প্যালেসের বাইরে। একটা সময় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। কেদ্রিয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টী করা হয় বলেও অভিযোগ। কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
রিপোর্ট যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে
ঘটনার বিস্তারিত জানানো হচ্ছে দিল্লিকে। সূত্রের খবর, রিপোর্ট যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও। সোমবারই রিপোর্ট পাঠিয়েছে সিআরপিএফ। মঙ্গলবার তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হবে। অন্যদিকে সিবিআইয়ের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো বিস্তারিত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও রাষ্ট্রপতির দফতরেও পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। সোমবার পুরো ঘটনার বিস্তারিত ভিডিওগ্রাফি করা হয়। সেই ভিডিও পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। সিবিআই সদর দফতরে এই ভিডিও পাঠানো হয়েছে। এবার সেই ভিডিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হচ্ছে।
হাইকোর্টে আগেই অভিযোগ জানায় সিবিআই
সোমবার সাতসকালে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে। এরপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নিজাম প্যালেস চত্বর। হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থকের ভিড়, বিক্ষোভ। মুহূর্তে পরিস্থিতি অপ্রীতিকর হয়ে ওঠে। সিআরপিএফকে লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতা ঢিল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। সোমবারই হাইকোর্টকে সিবিআই জানিয়েছিল তারা কাজ করতে পারছে না। নিজাম প্যালেসের বাইরে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সেই বিশৃঙ্খল ছবিকে হাতিয়ার করেই পালটা আবেদন জানানো হয় সিবিআই-এর তরফে। ২০১৭ সালের ঘটনাকে মনে করিয়ে সিবিআই জানায়, প্রতিবার তদন্ত করতে নামলেই নানা ভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। এরইমধ্যে খবর, এবার নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর 'ধরনা' ও বাইরে পাথর ছোঁড়ার বিস্তারিত বিবরণ রিপোর্ট আকারে আদালতকে জানাতে চলেছে সিবিআই। একইসঙ্গে দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরেও পাঠানো হচ্ছে রিপোর্ট। সঙ্গে থাকছে ভিডিয়ো ফুটেজ। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টই পাঠানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও রাষ্ট্রপতির দফতরে।
সিবিআই সদর দফতরে রিপোর্ট
সোমবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। একের মোড় এক নাটকীয় মোড়। কখনও জামিন মঞ্জুর তো আবার রাতে জামিনের উপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সারাদিনের বিস্তারিত ঘটনার রিপোর্ট দিল্লির সদর দফতরে পাঠায় সিবিআই। সোমবার ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে পুরোটা সিবিআইয়ের তরফে রেকর্ড করা হয়। তবে দিল্লিতে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে সিবিআই আধিকারিকরা প্রাণহানী ভয় করছেন বলে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট দিয়েছন।