বীরভূমে পাঁচ পুরসভায় একটি মাত্র আসন বিরোধীদের! জেলে বসে জয়ের খবর পেলেন সিপিএম নেতা
বীরভূমে পাঁচ পুরসভায় একটি মাত্র আসন বিরোধীদের! জেলে বসে জয়ের খবর পেলেন সিপিএম নেতা
বীরভূমে (Birbhum) সবুজ ঝড়। আর তা হবে নাই বা কেন। সেখানকার তৃণমূল (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তিনি বিভিন্ন সময় নানা খেলা দেখিয়ে থাকেন। এবারও তিনি ভোটের আগে খেলা হবে স্লোগান তুলেছিলেন। তবে বিরোধীরা বলছেন, কোথাও যেন ভুল হয়ে গিয়েছে। কেননা ৫ পুরসভার ৪টি বিরোধী শূন্য হলেও একটি পুরসভায় একমাত্র সিপিএম (CPIM) প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। আবার সেই প্রার্থী জয়ের খবর পেয়েছেন জেলে বসে।
বীরভূমের ৫ পুরসভায় তৃণমূলের ফলাফল
বীরভূমের পাঁচটি পুরসভার এবার নির্বাচন হয়। তার মধ্যে সিউড়ি ও সাঁইথিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন ফলাফল ঘোষণার পরে বাকি তিন পুরসভাও তাঁদের দখলে যায়। এদিনের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে বোলপুর পুরসভায় নির্বাচন হওয়া ১২ টি আসনের সবকটি, সিউড়ির পাঁচটির সবকটি, সাঁইথিয়ার দুটি আসনের দুটিই, দুবরাজপুরের ১১ টি আসনের সবকটি এবং রামপুরহাটের ১৩ টি আসনের মধ্যে ১২ টি তৃণমূল দখল করেছে। রামপুরহাট পুরসভার একটি মাত্র আসন পেয়েছে সিপিএম। সব মিলিয়ে বীরভূমের ৫ টি পুরসভার ৯৩ টি আসনের মধ্যে ৯২ টি দখল করেছে তৃণমূল।
রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম-এর জয়
বীরভূমের ৫ টি পুরসভার যে একটি মাত্র আসন সিপিএম-এর দখলে গিয়েছে, তা হল রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে জিতেছেন সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক। তবে এদিন তিনি জয়ের খবর পেয়েছেন জেলে বসে। তিনি পেয়েছেন ১২৬৭ ভোট। তৃণমূল প্রার্থী আব্দুল মালিককে তিনি ১৫৩ ভোটে পরাজিত করেছেন।
ভোটের দিন গণ্ডগোলের জেরে জেলে
স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে এই ওয়ার্ডও নজরে ছিল তৃণমূলের। শাসকদলের তরফে ওয়ার্ড উদ্ধারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, পাশের বনহাট গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এবং রামপুরহাট ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতিকে। আরও অভিযোগ, তাদের সঙ্গে যোগ দেন পাথরের ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায়কারীরা। এরা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অমল স্মৃতি স্কুলে একটি বুথ সম্পূর্ণ দখল করে ছাপ্পা দেয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের প্রার্থী ওই বুথে ঢুকলে তাকে নিগ্রহ করা হয় এবং সংবাদ মাধ্যমকেও নিগ্রহ করা হয়। সেই সময়ই ইভিএম ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিককে গ্রেফতার করে। এর পর স্থানীয় ক্লাব এবং সিপিএমের নেতারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁদেরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘরে ঘরে সিপিএম-এর সংগঠন
স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সিপিএমের প্রতীক সবসময় এই ওয়ার্ডে জয়ী হয়। যখন যিনি এই ওয়ার্ড থেকে সিপিএমের প্রতীকে দাঁড়ান তিনিই জয়ী হন। অধ্যাপক, অফিসার, ব্যাঙ্ক কর্মী এবং শিক্ষকরা যেমন এই ওয়ার্ডে থাকেন, ঠিক তেমনই আদিবাসীদের কয়েক ঘর এবং মুসলিমরাও এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।