বাম রাজ্য কেরল সেরা,পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে খারাপ! বাল্যবিবাহ রোধে মমতা সরকারের উদ্যোগ পরিসংখ্যানে ধরা দিল
বাম রাজ্য কেরল সেরা,পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে খারাপ! বাল্যবিবাহ রোধে মমতা সরকারের উদ্যোগ পরিসংখ্যানে ধরা দিল
কয়েকদিন আগেই একটি রিপোর্টে উঠে আসে যে, পশ্চিমবঙ্গে কেলবমাত্র লকডাউনেই লুকিয়ে ৫০০ টি নাবালিকা বিবাহ বা বাল্যবিবাহ হয়ে গিয়েছে। যা আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যসরকার। এরপর এদিন নাবালিকা বিবাহ রোধে পশ্চিমবঙ্গ কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে , তার পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এল।
দেশের মধ্যে সেরা কেরল
কেরলের বাম সরকার নাবালিকা বিবাহ রোধে সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে ০.৯ শতাংশ নাবালিকা ২০১৮ সালে বিয়ের পিঁড়িতে ওঠে। যে পরিসংখ্যান নাবালিকা বিবাহের ক্ষেত্রে দেশে সবচেয়ে কম। স্যাম্পেল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের রিপোর্ট এমনই কথা বলছে।
বিয়ের ন্যূনতম বয়স
অন্যান্য রাজ্য়ের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বিয়ের নূন্যতম বয়স ২০. ৯ বছর। যেখানে রাজস্থান ও বিহারে বিয়ের জন্য় ন্যূনতম বয়স ২১.৭ বছর। জম্মু ও কাশ্মীরে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২৬.৭ বছর।
পশ্চিমবঙ্গের হাল কেমন?
নাবালিকা বিবাহ ইস্যুতে কেরলের বাম সরকারের পাশে, তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিসংখ্যান রাখলে,তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ২০১৮ সালে ৩.৭ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ছে। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নাবালিকা বিবাহের পরিসংখ্যান।
লকডাউনে নাবালিকা বিয়ে বেড়েছে
পরিসংখ্যান বলছে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ধরলে টানা ৫০০ র বেশি নাবালিকা বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যা রীতিমতো রাজ্যের মহিলা নিরাপত্তা ও শিশু কল্যাণ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়েছে সরকারের। উল্লেখ্য, লকডাউনের পরিস্থিতিতে এই বিয়েগুলি লুকিয়ে লুকিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর।
কেন এভাবে বিয়ে? পরিবারগুলি কী বলছে?
বহু পরিবার জানিয়েছে, বাল্যবিবাহ দিতা তারা বাধ্য হয়েছে। কারণ লকডাউনের জেরে বহু ক্ষেত্রেই রোজগার বন্ধ হয়েছে মানুষের। তার জেরে পরিবারকে খাওয়ানোর মতো অর্থের যোগান অনেকেরই ছিল না। শেষমেশ সন্তানের মুখে ভাত তুলে না দিতে পেরে, কন্যা সন্তানের বিবাহ স্থির করে বহু পরিবার।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফাটল চওড়া! বিধানসভা ভোটের আগে দুই স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পিকে