'এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা', মুখ্যমন্ত্রী মমতা ফুঁসে উঠে 'গোলি মারো' স্লোগান নিয়ে দিলেন চরম বার্তা
এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা ', মমতা ফুঁসে উঠে 'গোলি মারো' স্লোগান নিয়ে দিলেন চরম বার্তা
দেশের রাজধানীতে নারকীয় হিংসার পর ওড়িশা সফরে গিয়েও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের কর্মিসভার বৈঠকে 'বাংলার গর্ব মমতা' নামাঙ্কিত অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার বিধ্বংসী মেজাজে দিল্লি হিংসা নিয়ে একহাত নেন কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে।
'এটা কলকাতা, দিল্লি নয়'
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এদিন দিল্লি হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে। তিনি অনুষ্ঠানের প্রথমেই দিল্লি হিংসার মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে নীরবতা পালন করেন। এরপর তিনি বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, 'এটা কলকাতা, দিল্লি নয় ভাই '..। ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি নিয়ে মমতার বক্তব্য, 'এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা, বুক পেতে রক্ত দেবে বাংলা। ' তিনি সদর্পে বলেন, 'গোলি মেরে গদ্দারকো উড়াদো' এসব বক্তব্য এখানে চলবে না।
দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে
মমতা এদিন জানান, রবিবার অমিত শাহের সভায় যারা মিছিলে এসে 'গোলি মারো' স্লোগান দিয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না। সাফ বার্তায় তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, এমন ভাষা অপরাধের ভাষা। আর যারা এই স্লোগান দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করেছে তাঁর সরকার। এদের বাড়ি কোথায় তাও সরকার জানে বলে দাবি করেছেন মমতা।
'একজনকে ছাড়লে ..'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কলকাতার বুকে যারা 'গোলি মারো' স্লোগান দিচ্ছেন , তাদের 'একজনকেও ছেড়ে দেওয়া মানে ৫ টা অন্য়ায় বাড়বে।' অন্যায়কে ছাড় দেওয়া। মমতা বলেন, যা অন্য়ায়, তা অন্যায়ই থাকবে। তিনি বলেন , 'যারা গোলি মারো স্লোগান দিয়েছে, তাদের ভাষা অন্যায়, ভাষাটি প্ররোচনামূলক।'
'কারা গদ্দার সে তো মানুষ ঠিক করবে'
'গদ্দার'কে মারার হুমকি দিয়ে যারা এমন স্লোগান তুলছেন ,তাদের প্রতি মমতার বার্তা 'কারা গদ্দার তা তো মানুষ ঠিক করবে, আপনারা ঠিক করার কে?'এদিন 'গোলি মারো' স্লোগান নিয়ে মমতা কার্যত একের পর এক অগ্নিগর্ভ বার্তা দেন সভায়।
গণহত্যা হয়েছে দিল্লিতে
এদিন দিল্লি প্রসঙ্গে তিনি বলতে গিয়ে , দাবি করেন দিল্লিতে ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পনা মাফিক গণহত্যা হয়েছে। যার দায় দিল্লিতে বসা মোদী সরকারের। উল্লেখ্য, দিল্লির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৪৬। আর আহত হাজারের কাছাকাছি মানুষ।
মমতা-অমিত বৈঠকের পরই তোপ!
এর আগে ওড়িশায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পূর্বভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে মমতার যোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্কও হয়। সেই সময় বাংলার অগ্নিকন্যা জানিয়েছিলেন যে 'এই বৈঠক সৌজন্যের', আর তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সেখানে যোগ দেন। এরপর সোমবারের সভাতেই মমতা স্পষ্ট করে দেন যে দিল্লি হিংসা নিয়ে তাঁর ও তাঁর দলের কোন অবস্থান অমিত শাহের শিবির নিয়ে।
দিল্লির ঘটনা পরিকল্পিত গণহত্যা, নেতাজি ইন্ডোর থেকে আক্রমণ মমতার