রাজ্যজুড়েই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, দেশের মধ্যে বাংলার স্থান কত নম্বরে জানলে চমকে উঠবেন
বিখ্যাত মানুষ হোন বা সাধারণ মধ্যবিত্ত, দেশে প্রত্যহ বেড়েই চলেছে আত্মহত্যার সংখ্যা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, সামাজিক টানাপোড়েনের জেরে বাংলাতেও হু হু করে বেড়ে চলেছে আত্মহননের প্রবণতা।

পারিবারিক সমস্যার জেরেই আত্মহননের পথে হাঁটছেন দেশের সিংহভাগ মানুষ
এদিকে বিখ্যাত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা বিগত কয়েক মাসে আমাদের একগুচ্ছ প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ময়নাতদন্ত আত্মহত্যার সঠিক কারণ নির্ধারণ করলেও সঠিক মনস্তাত্ত্বিক কাটাছেঁড়ার অভাবে কিছু ক্ষেত্রে অনেক মৃত্যুই রহস্যাবৃত থেকে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট আত্মহত্যার ৩২.৪%-ই পারিবারিক সমস্যার কারণে, যা ক্রমশ বাড়ছে।

আত্মহত্যার তালিকায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো(এনসিআরবি)-এর তথ্য বলছে, সর্বোচ্চ আত্মহত্যার তালিকায় একে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এর পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটক। যদিও বৃহৎ শহরগুলির ক্ষেত্রে চেন্নাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়েরও পরে রয়েছে কলকাতা।

আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে বড় শহরগুলিতে
হিসাব বলছে, ২০১৮-এর তুলনায় ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু বাদে বাকি সবকটি বৃহৎ শহরেই আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে। মফস্বল শহরগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল। এনসিআরবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের থেকে ২০১৯ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ৩.৪% বেড়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ৫০০০ জন অধিক মানুষ আত্মহত্যা করেন ২০১৯ সালে।

১০% মানুষের আত্মহননের কারণ রহস্যাবৃতই থেকে যাচ্ছে
এনসিআরবির পরিসংখ্যান বলছে, ১০% মানুষের আত্মহত্যার কারণ অজানা। ১৮-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মহননের প্রবণতা দেখা যায় এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া নাগরিকদের অধিকাংশই দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ। কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক সুজিত সরখেল জানিয়েছেন, "এনসিআরবির রিপোর্ট সর্বদা পুলিশের বক্তব্যের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, পুলিশি তদন্ত অধিকাংশ সময়েই মনস্তাত্বিক বিচারের ধারে কাছ দিয়ে যায় না। ফলত বেশিরভাগ সময়েই সঠিক কারণ অজানা থেকে যায়।"
দৈনিক ১০০০ মৃত্যু, এটাই কি হতে চলেছে করোনার নিউ নর্মাল রুটিন, কী বলছে রিপোর্ট