প্রথম অদিশা পথশিশুদের জন্য কাজ করতে চান, মাধ্যমিকের দ্বিতীয় অভীক উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয়
মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে আসতে পারেননি দিনহাটার অদিশা দেবশর্মা। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি এককভাবে দখল করে নিলেন শীর্ষস্থান। অদিশা ৫০০-র মধ্যে পেয়েছেন ৪৯৮। যা মোট নম্বরের ৯৯.৬ শতাংশ। তিনি কোচবিহারের দিনহাটার সোনিদেবী জৈন হাই স্কুলের ছাত্রী। ভালো রেজাল্ট হবে বলে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এতটা ভালো হবে তা ভাবেননি।
সকাল থেকেই চোখ রেখেছিলেন টিভিতে। মেধা তালিকার প্রথম স্থানে নাম দেখে উচ্ছ্বসিত অদিশা এবং তাঁর পরিবার। অদিশা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিকে ৬৭৮ নম্বর পেয়েছিলাম। সেবার প্রথম দশে থাকতে পারিনি। এবার ভালো রেজাল্ট হবে জানতাম। এতটা ভালো আশাতীত। উচ্চ মাধ্যমিকে ভালোবাসার বিষয়গুলি পেয়েছিলাম। বাবা, মা, শিক্ষক-সহ সকলে প্রেরণা জুগিয়েছেন। প্রথম হওয়া বা মেধা তালিকায় আসার কোনও চাপ ছিল না। স্কুলের শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন। লকডাউনে অনলাইন ক্লাসেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেভাবে পড়িয়েছেন তা অসাধারণ। টিউশন ছাড়া দিনে ৪-৫ ঘণ্টা পড়েছি। ৯ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছেন অদিশা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে পথশিশুদের জন্য কিছু করতে চান অদিশা। তিনি বলেন, পথশিশুদের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে।
HS Exam 2023: ১৪ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম ভাষার পরীক্ষা! এরপর কবে কী পরীক্ষা
কাটোয়ার কাশীরামদাস বিদ্যায়তনের ছাত্র অভীক দাস উচ্চ মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে তৃতীয়। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। ২০২০ সালের মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন অভীক। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখলেন উচ্চ মাধ্যমিকেও। কাটোয়া পুর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা শিবানন্দ দাস ও মানসী দাসের একমাত্র সন্তান অভীক। শিবানন্দবাবু কাটোয়ার মূলগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মানসীদেবী গৃহবধূ।