প্রথম দিনেই ভ্যাকসিনের অপচয়, পৌঁছনো যায়নি লক্ষ্যমাত্রায়! টিকাকরণ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা মমতার স্বাস্থ্য দফতরের
সোমবার রাজ্যে ভ্যাকসিনেশনের (corona vaccine) দ্বিতীয় দিন। কিন্তু প্রথম দিনেই রাজ্যে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিনের অপচয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সেই কারণে সোমবার কাজ শুরুর আগে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (health department)। সবকটি টিকাকরণ কেন্দ্রেই সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।

রাজ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
রাজ্যে প্রথম দিন টিকাকরণের পরে যে চিত্র উঠে এসেছে, তাতে হতবাক বিভিন্ন মহল। কলকাতা-সহ রাজ্যের ২০৭ টি কেন্দ্রে শনিবার টিকাকরণের কাজ করা হয়েছে। তৃণমূলের অনেক জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে টিকা নিয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব মতো প্রতি কেন্দ্রে ১০০ জন করে ভ্যাকসিন নিলেও প্রথম দিন ২০ হাজার ৭০০ জনের ভ্যাকসিন পাওয়া কথা। কিন্তু প্রথম দিনে রাজ্যে সংখ্যাটা থেকে গিয়েছে ১৬ হাজারের আশপাশে।

সোমবারও একই কেন্দ্রে টিকাকরণ
শনিবার যে কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণের কাজ হয়েছিল, সোমবারেও সেই কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণের কাজ করা হবে। সেদিন শুরু থেকেই টিকা প্রাপকদের নাম নথিভুক্ত করতে সমস্যায় পড়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। হাতে নাম লিখেই কাজ চালাতে হয়েছিল তাঁদের। সেই পরিস্থিতিতেও দার্জিলিং, কালিম্পং, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রামে সংখ্যার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা গিয়েছিল। এছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় ৯০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছিল।

ভ্যাকসিনের অপচয় বন্ধে নয়া নির্দেশিকা
এদিকে রাজ্যে প্রথমদিন টিকাকরণের কাজের পরে ভ্যাকসিন অপচয়ের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোভিশিল্ডের প্রত্যেক শিশি থেকে ৫ মিলি করে ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। কোভিশিল্ডের শিশির গায়েও সেই কথার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে ৫ মিলি করে ১০ নজকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও শিশিতে বেশ কিছুটা করে ভ্যাকসিন রয়ে যাচ্ছে। সেই পড়ে থাকা ভ্যাকসিন ব্যবহার করতেই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনওভাবেই ভ্যাকসিনের অপচয় করা যাবে না। যদি কোনও শিশিতে ৫ মিলি ভ্যাকসিন থেকে যায়, তাহলে তা কাউকে দিতে হবে। যদি তার কমও থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সপ্তাহে চারদিন ভ্যাকসিন দিতে নির্দেশর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জগনমোহন সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে বলা হয়েছিল তারা সপ্তাহে ছয় দিন টিকাকরণের কাজ চালাতে চান। সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশকে। রবিবার দেশের অধিকাংশ রাজ্যে টিকাকরণের কাজ বন্ধ থাকলেও ছটি রাজ্যে এই কাজ হয়েছে এবং সেখানে ১৭, ০৭২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।