৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা! উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত
৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই থার্ড ওয়েভ! উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যদফতর
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগাকী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে আসবে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভের ধাক্কা। শুধু তাই নয়, এইমসের প্রধান জানাচ্ছেন, এই সময়ের মধ্যে থার্ড ওয়েভ ভারতের আছড়ে পড়লেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে করোনার সংক্রমণ ভয়ঙ্কর হতে পারে। ফলে এখন থেকেই সাবধান হওয়ার পরামর্শ। বিশেষ করে ঠিক মতো চললে করোনার তৃতীয় ওয়েভ ঠেকানো যাবে বলে আশাবাদী ডাক্তাররা। আর এই আশঙ্কার পরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। প্রস্তুতি শুরু সমস্ত রাজ্যেও।
থার্ড ওয়েভ নিয়ে সতর্ক রাজ্য
ভয়ঙ্কর হতে পারে থার্ড ওয়েভ। ইতিমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এই সময়ে কোনও রকম ছাড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। আর সেজন্যে বাড়তি সতর্ক নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কড়া বিধি নিষেধ জারি রাখা হচ্ছে। এমনটা সূত্রের খবর। এছাড়াও সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়ানো হচ্ছে। থার্ড ওয়েভে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন শিশুরা। আর সেদিকে তাকিয়েই বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ডাক্তার, নার্সদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলাতে করোনার সংক্রমণ কমেছে। ভোটের সময়ে যেভাবে সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে বাড়ছিল সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে থার্ড ওয়েভ নিয়ে বেশ চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করেছেন। বিশষত বাচ্ছাদের যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যপাধায়। তিনি বলেন, "শোনা যাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ আসছে। বাচ্চাদের আরও বেশি করে যত্ন নিতে হবে। আর শিশুদের ভাল রাখার জন্য তাদের মায়েদেরও যত্নের প্রয়োজন। প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে।"
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হল কমিটি
১০ সদস্যর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে থার্ড ওয়েভ সামলাতে সবদিক থেকে কোমর বেঁধে নামতে চলেছেন স্বাস্থ্য দফতর। কোনও জায়গাতেই ফাঁক রাখতে চাইছে না। আর সেদিকে তাকিয়েই এই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক জেকে ঢালির নেতৃত্বে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি ঘঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ পাল, যোগীরাজ রায়, মৃণালকান্তি দাস, বিভূতি সাহা, আশুতোষ ঘোষ, জ্যোতির্ময় পাল এবং অভিজিৎ চৌধুরীর মতো চিকিৎসকরা। রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বিশেষ চিকিৎসক।
সবরকম সাহায্য করবে কমিটি
মূলত করোনার থার্ড ওয়েভ সামলাতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেই বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেবেন এই কমিটি। এছাড়াও কি ধরনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব সেই বিষয়ে সরকারকে সবরকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে এই কমিটি। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে কমিটি। বাচ্ছাদের ক্ষেত্রে কি ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন সেই বিষয়েও তথ্য দেবে এই কমিটি। ইতিমধ্যে কলকাতায় তৈরি করা হচ্ছে সেফ হোম। বাচ্ছাদের জন্যে এই সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে অসুস্থ বাচ্ছাদের সঙ্গে থাকতে পারবেন তাঁর অভিভাবকরাও।