দুয়ারে সরকার শুরুর আগেই স্বাস্থ্যসাথীর নয়া নিয়ম ঘোষণা, টাকা পেতে হলে কী করতে হবে জেনে নিন
দুয়ারে সরকার শুরুর আগেই স্বাস্থ্যসাথীর নয়া নিয়ম ঘোষণা, টাকা পেতে হলে কী করতে হবে জেনে নিন
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নয়া অ্যাডভাইসারি ঘোষণা করল স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি নার্সিংহোম এবং হাসপালাতগুলিকে সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই প্রকল্পের টাকা পেতে হলে এবার বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম গুলিকে ওষুধের রশিদ দেখাতে হবে। এই নিয়ে গণ্ডগোল ধরা পড়ায় নিয়মে কড়াকড়ি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নয়া অ্যাডভাইসারি
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নয়া অ্যাডভাইসারি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে এবার সেই নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের চিকিৎসার পর সেই প্রকল্পের টাকা পেতে হলে ওষুধের রশিদ জমা দিতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে। কারন অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধের দামে গরমিল ধরা পড়ছে। কমদামে ওষুধ কিনে রোগীকে দেওয়ার পর সরকারের কাছ থেকে বেশি করে ওষুধের দাম চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অনিয়ম রুখতেই বেসরকারি হাসপাতাল গুলির জন্য কড়া নিয়ম জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয় রোগীকে যদি কোনও দামি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। সেটা কেন দেওয়া হয়েছিল তার কারণও উল্লেখ করতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে।
১৬ তারিখ থেকে ফের দুয়ারে সরকার
১৬ তারিখ থেকে ফের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিনআগেই নবান্নে তারিখ ঘোষণা করেছেন। ১৬ অগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। ফের স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ড, ডিজিটাল রেশনকার্ড সহ একাধিক বিষয়ে আবেদন নিয়ে সরকারের এই ক্যাম্পে আবেদন জানাতে পারবেন তাঁরা। ভোটের আগে মমতা সরকারের এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ঘটনা যােক বলে একেবারে মাস্টার স্ট্রোক তৃণমূল কংগ্রেসের। বিপুল সাফল্য পেয়েছিল মমতা সরকার। তারপরেই ভোটের অঙ্ক ঘুরে গিেয়ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। ভোটের ঠিক আগেই সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন িতনি।
বাড়ির মহিলাদের নামে কার্ড
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি বাড়ির মহিলাদের নামে রয়েছে। প্রত্যেক পরিবারে বাড়ির মহিলাদের নামেএই কার্ড হবে। তাতে সুবিধা পাবেন মেয়ের বাপের বাড়ির লোকেরাও। এমন প্রকল্পে মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক যে তৃণমূলের ঘরেই যাবে তাতে কোনও সন্দেহ ছিল না। ভোটের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরেকটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেটা লক্ষ্মীর ভান্ড। বাড়ির গৃহিনীরা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে প্রতিমাসে হাত খরচ পাবেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা পড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সেই আবেদনও গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্য সাথী ভার্সের আয়ুষ্মান ভারত
ভোটের আগে প্রচার ময়দানে বিজেপি কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে সরব হয়েছিল। বিজেপির তাবর নেতারা অভিযোগ করেছিলেন মমতা সরকার রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পচালু হতে দিচ্ছে না। তার পাল্টা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল কেবল মাত্র দুঃস্থ শ্রেণির জন্যই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু মমতা সরকার সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। প্রথমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নিয়ে অশান্তি তৈরি হয়েছিল একাধিক হাসপাতালের। একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না।এই নিয়ে রাজ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। তারপরে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কার্যকর করেন মমতা।
২০২২ এ যোগীকে সামনে রেখে লড়বে বিজেপি, স্পষ্ট করলেন উপমুখ্যমন্ত্রী