ওয়ার্ক ফ্রম হোমে সরকারি কাজ! ফাঁকি রুখতে নয়া পন্থা মমতার সরকারের
সারা দেশে করোনা সংক্রমণের আগে ওয়ার্কফ্রম হোম শব্দটা বিশেষ পরিচিত ছিল না। কিন্তু দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ ছড়াতেই বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকার তাদের কর্মীদের জন্য ওয়ার্কফ্রম হোমের
সারা দেশে করোনা সংক্রমণের আগে ওয়ার্কফ্রম হোম শব্দটা বিশেষ পরিচিত ছিল না। কিন্তু দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ ছড়াতেই বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকার তাদের কর্মীদের জন্য ওয়ার্কফ্রম হোমের বন্দোবস্ত করেছে। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষ করে যাঁদের বয়স বেশি এবং কোমরবিডিটি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রাজ্যে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
পরপর ১০ দিনে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ল ৫ টাকার বেশি, একনজরে কোথায় কত
কর্মীদের কাজের নজরদারিতে চালু সফটঅয়্যার
এইসব সরকারি কর্মীদের কাজের নজরদারিতে চালু করা হয়েছে সফটঅয়্যার। তবে অর্থ দফতর সূত্রে খবর, পরীক্ষামূলকভাবে সেই সফটঅয়্যার চালু করা হয়েছে। কর্মীরা যাতে কাজের সময়েই কাজে বসেন, সেই কারণেই এই সফটঅয়্যার। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, অনেকেই ভেবে থাকতে পারেন, যেহেতু বাড়িতে বসে কাজ, তাই নজরদারিও কেউ নেই।
ফল আশানুরূপ হলে অন্য বিভাগেও একই ব্যবস্থা
এর ফল যদি আশানুরূপ হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের অন্য বিভাগগুলিতেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে, অর্থ দফতর সূত্রে খবর।
যেভাবে কাজ করবে এই সফটঅয়্যার
কোনও সরকারি কর্মীকে এই সফটঅয়্যারে মাধ্যমে লগ ইন করতে হবে। এইভাবেই নির্দিষ্ট কোনও সরকারি বিভাগ অফিসের কাজের সময়ে নজরদারি করতে পারবে। অফিসের কাজের সময়ে যাতে কাজের কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন, অর্থ দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক।
সরকারি নির্দেশিকা
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, হাল্কা জ্বর, কাশি থাকলে অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা অফিসার ও কর্মীদের অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়া প্রতিদিন অফিসে ৭০ শতাংশ হাজিরা জরুরি বলেও জানানো হয়েছিল নির্দেশিকায়।