তৃতীয় ওয়েভ রুখতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে কাজ শুরু
তৃতীয় ওয়েভ রুখতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে কাজ শুরু
সেকেন্ড ওয়েভে করোনার চোখ রাঙানি দেখেছে গোটা দেশ। এই সময় কয়েক লক্ষ মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক প্রায় ৪ লক্ষেরও কাছাকাছি মানুষ করোনাতে সংক্রমিত হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমন কিছুটা কমলেও এখনও স্বস্তি ফেলার মতো কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। জুলাই-অগস্ট মাসে তৃতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে বলে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেকেন্ড ওয়েভ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে আগাম সতর্কতা সর্বস্তরে।
আগাম ব্যবস্থা রাজ্যের তরফেও
তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে চিকিৎসকদের। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তৃতীয় ওয়েভে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবেন বাচ্ছারা। সেদিকে তাকিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেদিকে তাকিয়ে এবার বাংলাতেও শিশুদের চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা স্বাস্থ্য দফতরের। ইতিমধ্যে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে শিশুদের জন্যেও বেড। কলকাতা তো বটেই, জেলার সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতেও বেড বাড়ানোর জন্যে বলা হয়েছে।
নির্দেশিকা পেয়েই কাজ শুরু
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা সমস্ত জেলাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো শিশুদের কোভিড চিকিত্সার জন্য বেড বাড়ানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে প্রায় ৪০টি বেড তৈরি রাখা হয়েছে। পিআইসিইউ বা পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট তৈরি রাখা হয়েছে রাজ্যের ৯১টি সরকারি হাসপাতালে। আইসিইউ, এইচডিইউ, মাতৃ মা বিভাগে এই বেডগুলি থাকবে। শুধু মালদহ মেডিক্যাল কলেজেই নয়, আরও বেশ কয়েকটি জেলা হাসপাতালেও বেড বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের পরিকাঠামো।
হাসপাতালে গড়ে উঠবে ৩৫০টি এসএনসিইউ
রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে ১০ হাজার কোভিড বেড তৈরি করা হবে। যেখানে ৩ মাস থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও সদ্যোজাত থেকে ৩ মাস বয়সীদের করোনা চিকিৎসার জন্যেও ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। প্রায় ৩৫০টি এসএনসিইউয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনই খবর খবর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে এই পেডিয়াট্রিক কোভিড বেডে ভর্তি করা হবে। সদ্যোজাত থেকে ৩ মাস বয়সীদের করোনা চিকিৎসায় রাখা হচ্ছে ৩৫০টি এসএন বা সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট। আশঙ্কাজনক তো বটেই, মৃদু উপসর্গ থাকলেও এই বেডে ভর্তি করা যাবে ১ থেকে ৯০ দিন বয়সী শিশুদের। ৭০টি সরকারি হাসপাতালে গড়ে উঠবে ৩৫০টি এসএনসিইউ। এছাড়াও ১৩০০টি পিআইসিইউ বা পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের ৯১টি সরকারি হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনে তৃতীয় ওয়েভের আগে যেভাবে পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে টা যথেষ্ট সঠিক। জানা যাচ্ছে, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। অর্থাৎ ওয়েভ আছড়ে পড়ার আগেই সমস্ত কিছু সেরে ফেলতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।