করোনা পরীক্ষায় রাজ্য ব্যবহার করছে না কেন্দ্রের পরিকাঠামো, ফল আসতে দেরি হওয়া নিয়ে বিস্ফোরক নাইসেড কর্ত্রী
করোনা পরীক্ষায় রাজ্য ব্যবহার করছে না কেন্দ্রের পরিকাঠামো, ফল আসতে দেরি হওয়া নিয়ে বিস্ফোরক নাইসেড কর্ত্রী
রাজ্যে যখন করোনায় (coronavirus) সংকটজনক পরিস্থিতি সেই সময় কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেডের (niced) পরিকাঠামো ব্যবহার না করার অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের (west bengal govt) বিরুদ্ধে। নাইসেডের ডিরেক্টর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে তাঁরা প্রতিদিন ৩-৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারেন, সেই জায়গায় তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে ১২০০-র মতো নমুনা। যার জেরেই বহু মানুষের রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে।
করোনায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে মমতার রাজ্যে, সুস্থ হয়ে রোগী ফিরছেন যোগী রাজ্যে
রোগীরা রিপোর্ট পাচ্ছেন দেরিতে
দু-একটি বেসরকারি হাসপাতালে দিনের প্রথমে গিয়ে লাইন দিতে পারলে সেইদিন সন্ধেয় আরটিপিসিআর রিপোর্ট পাওয়া যায়। এছাড়া বর্তমানে কেরানা আক্রান্ত রোগীদের রিপোর্ট পেতে এক থেকে তিন দিন সময় লেগে যাচ্ছে। কেননা সব জায়গাতেই ল্যাবরেটরিগুলিতে প্রবল চাপ।
নাইসেডের হাতে রয়েছে কোবাস ৮৮০০ যন্ত্র
গতবছরে পূর্ব ভারতে বাংলার হাতে এসেছিল একটি অত্যাধুনিক কোবাস ৮৮০০ যন্ত্র। এটি রাখা হয়েছিল নাইসেডে। গতবছরের অগাস্ট থেকে যন্ত্রটি কাজ শুরু করেছে। এই কোবাস ৮৮০০ যন্ত্রটি প্রতিদিন ৩-৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারে।
কাজে লাগানো হচ্ছে না কোবাস যন্ত্রকে
নাইসেড কর্ত্রী শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, কোবাস যন্ত্রটিকে সেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। নাইসেডে বর্তমানে যেসব জায়গা থেকে নিয়মিত নমুনা আসছে সেগুলি হল ইএসআই, গার্ডেনরিচ হাসপাতাল, কমান্ড হাসপাতাল। এগুলির সবই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। এছাড়াও রাজ্যের অধীনে থাকা বেলেঘাটা আইডি এবং শিশু হাসপাতালের নমুনা সেখানে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তুলনায় সেই সংখ্যাটা কম বলে জানিয়েছেন নাইসেড কর্ত্রী।
পরিষ্কার করে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যদি মনে করে তারা বেশি সংখ্যায় নমুনা পাঠাবেন, তাহলে, তারা পরীক্ষা করে দেবেন। কেননা যেখানে তাদের ক্ষমতা ৩-৪ হাজার, সেখানে আসছে ১২০০ প্রতি দিন।
নাইসেডে নমুনা পাঠাতে আগ্রহী নয় রাজ্য
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের হাতে যে ল্যাব এবং পরিকাঠামো রয়েছে, সেটাকেই ব্যবহার করতে চায় স্বাস্থ্যভবন। তারা নমুনা নাইসেডে পাঠাতে আগ্রহী নয়। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো ব্যবহারে আগ্রহী নয়। তবে এব্যাপারে স্বাস্থ্যভবন থেকে সরকারি কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।