জারি মমতার সঙ্গে সংঘাত, হিংসা রুখতে সরাসরি কালীঘাটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়!
বুধবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়াতেই পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল। আজ কালীঘাটে পুজো দেওয়ার পর বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন,'আজ আমি স্ত্রীর সঙ্গে কালীঘাটে পুজো দিলাম। রাজ্য ও রাজ্যবাসীর সমস্ত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছি। মা কালী আমাদের উপর কৃপাদৃষ্টি বজায় রাখুক। রাজ্যকে হিংসামুক্ত রাখুক।'

পরবর্তী সময় পশ্চিমবঙ্গের কাছে চ্যালেঞ্জের
এদিন রাজ্যপাল ধনকড় আরও বলেন, 'পরবর্তী সময় পশ্চিমবঙ্গের কাছে চ্যালেঞ্জের। আমি প্রার্থনা করেছি যাতে ভয় ও হিংসার বাতাবরণ বন্ধ হোক। সুখ, শান্তি বজায় থাকুক। মানবাধিকার লঙ্ঘন সমাপ্ত হোক। প্রথম সেবক হিসেবে আমি মা কালীর কাছে এই প্রার্থনাই করেছি। প্রত্যেক মানুষকে অন্যের সুখে, আনন্দে, শান্তির জন্য কাজ করে যেতে হবে।'

প্রধান সচিবকে তাঁর আচরণের কারণ দর্শাতে বলে চিঠি
এদিকে দার্জিলিং হিলস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য নিয়োগের ফাইল নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য জগদীপ ধনকড়। কিন্তু, দেখা করতে আসেননি সচিব। তাই গতকালই প্রধান সচিবকে তাঁর আচরণের কারণ দর্শাতে বলে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিবকে ২৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটের মধ্যে উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে।

মণীশ জৈনের তরফে জবাব
গতকাল রাজভবন থেকে উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের তরফে তার প্রেক্ষিতে পাঠানো উত্তরে বলা হয়, 'আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।' ঘটনার পরেই টুইটে ক্ষোভ উগরে দেন জগদীপ ধনকড়। প্রধান সচিবের আচরণের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি তাঁকে কারণ দর্শাতে বলে চিঠিও পাঠান রাজ্যপাল।

কোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল
ওই চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, কোন কারণে তিনি অনুমতি চেয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের থেকে কী ধরনের অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না দেওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে উত্তর চাওয়া হয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে। পাশাপাশি, একজন সিনিয়র পাবলিক সার্ভেন্টের এই ধরনের আচরণ কোনও আইনি ক্ষেত্রের ভিত্তিতে করা হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
