শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল! সন্ত্রাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে দিতে পারেন রিপোর্ট
শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল! সন্ত্রাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে দিতে পারেন রিপোর্ট
গত ২৪ ঘন্টা আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই বৈঠকে শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সহ একাধিক বিষয়ে উঠে আসে আলোচনায়। বিধায়কদের কাছ থেকে তাঁদের এলাকার অবস্থার খোঁজ নেন রাজ্যপাল। আর এরপর রাজভবনে বসেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতেও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর এরপরেই দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা।
রাতেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল
জানা যাচ্ছে, আজ মঙ্গলবারই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল ধনখড়। রাতের বিমানে ৩ দিনের জন্য দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, এই দুদিন একাধিক বৈঠক হতে পারে বলে খবর। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, বিধায়কদের নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয় উঠে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে। মনে করা হচ্ছে, সমস্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা দিতে পারেন। শুধু তাই নয়, অমিত শাহের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু মন্ত্রকের সঙ্গে ধনখর বৈথক করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা
ইতিমধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। বঙ্গ বিজেপির কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ দলে ভাঙন রোখা। ইতিমধ্যে দলের মধ্যে একাধিক নেতা বেসুরো। মুকুল রায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সাংসদ-বিধায়কদের কাছে যাচ্ছে ফোনও। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে চান শুভেন্দু। উল্লেখ্য, সোমবার শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে ধনখড় বলেন, "আমি জানতে পারলাম গত দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগই করা হয়নি। আমি আশ্বস্ত করছি, পশ্চিমবঙ্গে ওই আইন পুরোদমে কার্যকর করা হবে। আমি নিশ্চিত করব যাতে কার্যকর হয়। কেউ আইনের নাগালের বাইরে নয়।" মনে করা হচ্ছে এই বিষয়েও দিল্লিতে কথা বলতে পারেন ধনখড়।
পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নালিশ জানাতে পারেন
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস রুখতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল ধনখড়। কিন্তু যে তথ্য জমা দেওয়া হয় তাতে মোটেই খুশি ছিলেন না রাজ্যপাল। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, উর্দিধারীরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না। তৃতীয়বারের জন্য বিপুল ভোটে জিতে বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মানুষের রায়ে বাংলা দখল হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন কোনও কাজ করছে না বলেও অভিযোগ জগদীপ ধনকড়ের। দিল্লিতে এই বিষয়টিও তুলে ধরতে পারেন রাজ্যপাল।
আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে তোপ রাজ্যপালের
উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে একাধিকবার রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যাপাল ধনখড়। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতও হয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার ফের একবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবারই রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একঝাঁক বিজেপি বিধায়কের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "ভোট পরবর্তী রাজ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে কেন মুখ্যমন্ত্রী গেলেন না?" ভোট পরবর্তী অশান্তি, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের খোঁচা, "বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না।"
'আত্মসমর্পণ' করলেই মিলবে ১০০ দিনের কাজ, তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার মন্তব্যে কটাক্ষ বিরোধীদের