'রাজ্যপাল তাঁর দায়িত্ব জানে', হাওড়া বিল নিয়ে চলা সংঘাতের মধ্যেই অধ্যক্ষকে পালটা জবাব ধনখড়ের
'রাজ্যপাল তাঁর দায়িত্ব জানে', হাওড়া বিল নিয়ে চলা সংঘাতের মধ্যেই অধ্যক্ষকে পালটা জবাব রাজ্যপালের
ফের একবার বিধানসভার চেয়ারম্যান বনাম রাজ্যপাল ধনখড় সংঘাত! কলকাতা এবং হাওড়াতে একসঙ্গে পুরসভা ভোট করাতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু হাওড়া বিল পাশ না হওয়ার কারনে জটিলতা তৈরি হয়। আর সেই কারনে হাওড়াকে বাদ রেখেই পুরসভা ভোট হচ্ছে কলকাতা পুর এলাকায়। আর হাওড়া পুরসভাতে ভোট না হওয়ার দায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপরের ফেলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই সংঘাত চরমে।
উনি কি উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছেন?
আজ বিধানসভায় হাওড়ার পুরভোট সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করা হয় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কার্যত নাম না করেই রাজ্যপালকে একআত নেন তিনি। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হাওড়া বিল পাশ না হওয়ার কারনে সেখানে ভোট করানো গেল না। কিন্তু না হওয়ার কারনই ছিল না বলে দাবি তাঁর। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের প্রশ্ন, কৃষক বিলে যদি রাষ্ট্রপতি সই করে দিতে পারেন তাহলে কেন এটা হবে না? শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে রাজ্যপালকে সব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে উনি কি উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছেন, তা জানা নেই বলে মন্তব্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অনুমোদন না আসায় তা কার্যকর হয়নি
সম্প্রতি হাওড়া এবং বালি পুরসভাকে আলাদা করা হয়েছে। পাশ হয়েছে হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল ২০২১। বিল পাশ হলেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অনুমোদন না আসায় তা কার্যকর হয়নি। রাজভবন সুত্রে খবর, রাজ্যপাল এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য চায়। আর তা না দেওয়ার কারনেই রাজ্যপাল তা সই করেনি। আর তা নিয়েই জটিলতা। যদিও সোমবার সন্ধ্যাতেই এই বিষয়ে পালটা জবাব দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়।
খুব দুর্ভাগজনক!
এদিন রাজ্যপাল কার্যত বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বলেন, এটা খুব দুর্ভাগজনক যে বিধানসভার অধ্যক্ষ এমন কথা বলছেন। রাজ্যপাল তাঁর দায়িত্ব জানে। সমন্বয় রেখে কাজ করা উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা করা হচ্ছে না। অভিযোগ রাজ্যপালের। শুধু তাই নয়, হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনও তিথ্য দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। সংবিধান মানেন না। রাজ্যপাল সংবিধান অনুযায়ী বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। এরপর অধ্যক্ষ। তা মানা হয়না বলে কার্যত ক্ষুব্ধ হন ধনখড়।
রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারী
রাজ্য বনাব রাজভবন সংঘাতে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়াতে ঠিক সময়ে ভোট না হওয়ার জন্যে দায়ী রাজ্য সরকার। সমস্ত নেতাদের দিনের পর দিন মাথায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি। তা দিলেই তো ঝামেলা মিটে যেত বলে দাবি রাজ্যপালের।