গণপিটুনি, এসসিএসটি বিল নিয়ে চাই আরও তথ্য! সরকারকে চিঠি রাজ্যপালের
এসসিএসটিদের নিয়ে কমিশন গঠনে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল অনুমতির জন্য পড়ে রয়েছে রাজ্যপালের কাছে। এছাড়াও রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে গণপ্রহার সংক্রান্ত বিলও। জানা গিয়েছে রাজ্যপাল সরকার এবং বিধানসভার কাছে এই দুটি বিল নিয়ে আরও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। এরপরই তিনি দুটি বিলে অনুমতি দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

৩০ অগাস্ট বিধানসভায় পাশ গণপ্রহার সংক্রান্ত বিল
সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল গণপিটুনি নিয়ে আইন করতে। সেই মতো ৩০ অগাস্ট রাজ্য বিধানসভায় দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিলটি পাশ হয়। যদিও বিলটি নিয়ে বিরোধীদের তরফে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। বিল পাশ হওয়ার প্রায় ১৫ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর বিলটি রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।

গণপ্রহার বিল নিয়ে জটিলতা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিলটি পাশ করানোর আগে প্রথা মতো বিধায়কদের তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যা বিধানসভায় পাশ হয়, তা বিধায়কদের যেটি দেওয়া হয়েছিল তা থেকে ভিন্ন। প্রথমটিতে সর্বোচ্চ সাজা বলা হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। পরেরটিতে তা মৃত্যুদণ্ড করা হয়। দুটি বিলের নম্বর এক হলেও, বিধানসভায় এর জন্য কোনও সংশোধনী পেশ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। ২৬ নভেম্বর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এই বিল নিয়ে বিধানসভার ফাইনাল প্রসিডিংস চেয়ে পাঠিয়েছিলেন।

এসসিএসটি বিল নিয়ে জটিলতা
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিল সই না করে এসসিএসটি বিল আটকে রেখেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বিজেপির নির্দেশে রাজ্যপাল এসসিএসটি কমিশন বিলে সই না করায় তা আনা যায়নি বিধানসভায়। যার ফলে বিধানসভার অধিবেশন আগেই শেষ করে দিতে হয়েছে। তাই বিধানসভার কাজ যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য এই বিল নিয়েই তথ্য চাওয়া হয়েছে বসে সূত্রের খবর।

বেশ কিছু বিলে ইতিমধ্যেই অনুমোদন
যদিও রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিল এবং পশ্চিমবঙ্গ লিফট, এসক্যালেটর বিলে অনুমোদন দিয়েছেন।।