আম্ফান ধাক্কা সামলাতে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য, রেল-বন্দরকে সহযোগিতার আর্জি
আম্ফান ধাক্কা সামলাতে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য, রেল-বন্দরকে সহযোগিতার আর্জি
আম্ফান ধাক্কা সামলাতে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য। যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেনার সাহায্য লাগবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রেল ও বন্দরের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। টুইট করে একথা জানিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত এনডিআরএফের টিমও চাইল রাজ্য।
সেনার সাহায্য দাবি
আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা সহ ৫টি জেলা। এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে পৌঁছনো যাচ্ছে না। যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেখানে একমাত্র সেনার পক্ষেই পৌঁছনো সম্ভব। মানুষকে দ্রুত সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে সেনা বাহিনীর সাহায্য চাইল রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে টুইট করে একথা জানানো হয়েছে। সেখানে প্রয়োজন সেখানে সেনার সাহায্য নেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য সরকার।
রেল ও বন্দরের সহযোগিতার আর্জি
নবান্নের পক্ষ থেকে আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে রেল ও বন্দরকেও সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছে নবান্ন। একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে রেল লাইন বন্ধ হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকাতেও ক্ষতি মারাত্মক হয়েছে। সেসব জায়গায় রেল ও বন্দরকে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছে।
আসছে এনডিআরএফের অতিরিক্ত দল
আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে এনডিআরএফের অতিরিক্ত দল চেয়ে পাঠাল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি িদয়ে অতিরিক্ত দল চাওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনডিআরএফের আরও ১০টি টিম রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাতের মধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছবে আরও ১০টি দল। এই মুহূর্তে রাজ্যে ২৬টি দল কাজ করছে।
জল, বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ
টানা ৩ দিন ধরে জল বিদ্যুৎ না পেয়ে শহরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন বাসিন্দারা। বাইপাস, বেহালা, টেগোর পার্কে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। সোনারপুরে বিডিও অফিস ভাঙচুর করা হয়। টিটাগড়ে খড়ের ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।