করোনার আবহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্য প্রশাসনের
করোনার আবহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্য প্রশাসনের
করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে এবছর যেকোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সৌজন্যে মালদায় স্বল্প পোশাকে কিশোরীদের অশ্লীল নাচকে ঘিরে নিন্দার ঝড়।
জানা গিয়েছে, মালদার কালিয়াচকের ৩নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গোলাপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন তার স্বামী জাইসুদ্দিনের নেতৃত্বে, এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমাইল পুর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা সদস্য বকুল মিয়া প্রকাশ্য মঞ্চে উঠে মেয়েদের সাথে নাচ করছে ও টাকা বিতরণ করছে এমন ছবিও ধরা পড়েছে। দুইদিন ধরে চলছে এমন অনুষ্ঠান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমন ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের নিন্দার মুখে পড়ল উদ্যোক্তারা। ঘটনায় নিন্দার ঝড়ও উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
ওই তৃণমূল নেতা এই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, একজন তৃণমূলের নেতা কিভাবে এ ধরনের কাজ করে দলের অন্দরেই উঠেছে প্রশ্ন। গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদলের সমালোচনায় নেমেছে বিজেপি। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি স্বাধীনতা নষ্ট করেছে তৃণমূল নামক এই দলটা।
গোটা ঘটনা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বস বলেন, এই ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না। দলীয় ভাবে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৃণমূল কামানোর জন্য! শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মানুষ উৎকণ্ঠায়, আর কী বললেন দিলীপ