দুয়ারে রেশন চলবে রাজ্যে! হাইকোর্টের রায় স্থগিতাদেশে মিলল সুপ্রিম স্বস্তি
দুয়ারে রেশন চলবে রাজ্যে! হাইকোর্টের রায় স্থগিতাদেশে মিলল সুপ্রিম স্বস্তি
২০২১-এ ক্ষমতা ধরে রাখার পর তৃণমূল সরকার দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করেছিল। তবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্ক লেগেই ছিল। এই প্রকল্প নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না রেশ ডিলাররা। এই প্রকল্পের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় সুপ্রিম স্বস্তি পেল রাজ্য।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর শুরু হয়েছিল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি মতো তিনি সরকার গড়ার পরই এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু প্রথম থেকেই এই প্রকল্প ছিল বিতর্কিত। ডিলাররা প্রতিবাদ জানিয়ে আইনি লড়াইয়ে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্প চলবেই। তাঁর সরকার এক্ষেত্রে কার কাছে মাথা নোয়াবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আত্মবিশ্বাসী মন্তব্যের পর সোমবার এই দুয়ারে রেশন সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য বলবৎ রইল। আপাতত রাজ্যে বন্ধ হচ্ছে না দুয়ারে রেশন প্রকল্প।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প আপাতত চলবে। এই প্রকল্প চালাতে কোনও বাধা রইল না।
এই প্রকল্প নিয়ে রেশ ডিলারদের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প খাদ্যের অধিকার আইনের পরিপন্থী। এই কারণে সেটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রায় এক বছর হয়ে গেল রাজ্যে চালু হয়েছে দুয়ারে রেশন। এই প্রকল্প এখনও রাজ্যের সর্বত্র বিস্তার করা যায়নি। তাই যে কোনও মূল্যে তা রাজ্যের সর্বত্র বিস্তার করতে হবে। কারও আপত্তি শুনবেন নাতিনি। যে কোনও মূল্যে রাজ্যের সর্বত্র এই দুয়ারে রেশনের সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে রাজ্যবাসীর কাছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি একা খাবো, আর কাউকে খেতে দেবো না, এটা চলতে দেওয়া যায় না। মানুষের জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হয়েছিল। মানুষের স্বার্থেই চা চালু রাখতে হবে। তিনি প্রয়োজন হলে বিধানসভার মাধ্যমে কোর্টে আবেদন জানানোর কথাও বলেন। তিনি কিছুতেই বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদতে দেবেন না। তাঁর আবেদন মান্যতা পেল সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, প্রধান বিচারপতি কবে নেবেন পরীক্ষা