শক্তিগড়ের ল্যাংচার ‘জিআই ট্যাগের’ জন্য তোড়জোড় শুরু রাজ্য প্রশাসনের
শক্তিগড়ের ল্যাংচার ‘জিআই ট্যাগের’ জন্য তোড়জোড় শুরু রাজ্য প্রশাসনের
রসগোল্লার পর এবার বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ের ল্যাংচার জন্য 'জিআই ট্যাগের’ আবেদন করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের অন্যতম বিখ্যাত মিষ্টি সীতাভোগের জন্য মিলেছে বিশেষ 'জিওগ্রাফিক ইন্ডিকেশন’ বা জিআই ট্যাগ। শিকে ছিঁড়েছে মিহিদানার কপালেও।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের ২৬ তারিখ একটি দলীয় সভায় পূর্ব-বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে শক্তিগড়ের ল্যাংচার জন্য জিআই ট্যাগের ব্যবস্থা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দুগ্ধজাত এই মিষ্টির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। পাশাপাশি স্বাদ ও গুণের নিরিখে শক্তিগড়ের ল্যাংচার নামও সর্বজনবিদিত।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী সংবাদ মাধ্যমে জানান, ' বর্ধমানের বিখ্যাত মিষ্টি মিহিদানা ও সীতাভোগের জন্য জিআই ট্যাগ আমাদের অনেক আগেই মিলেছে। এবার দিদির নির্দেশ মতো আমরা শক্তিগড়ের ল্যাংচার জন্য জিআই ট্যাগের আবেদন করতে চলেছি।’ পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই শক্তিগড়ের ল্যাংচার খাদ্যগুণ বিচার করে দেখতেও শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
অর্থাৎ এরপর যদি শক্তিগড়ে ল্যাংচার জিআই ট্যাগ মেলে তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বিশেষ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি এরপর থেকে ওই এলাকায় প্রক্রিয়াজাত এই বিশেষ মিষ্টিটি ওই অঞ্চলের নামেই সরকারি ভাবে নামাঙ্কিত হবে। অন্যদিকে দেশের মধ্যে দার্জিলিংয়ের চায়ের ক্ষেত্রেই প্রথম এই জিআই ট্যাগ মিলেছিল।
ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বর্ধমানের মিষ্টির বাণিজ্যকরণ ঘটাতে 'মিষ্টি হাব’ তৈরির প্রতিশ্রুতিও মিলেছে তৃণমূল সু্প্রিমোর কথায়। পাশাপাশি শক্তিগড়ের জন্য আলাদা করে বিশেষ 'ল্যাংচা হাব’ হবে বলেও বর্ধমানের একাধিক জনসভায় এর আগেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।