পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বাড়ছে মহামারী
পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ায় বৃহস্পতিবার ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ও ঝাড়খণ্ড সরকার জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়েছে। এদিন গালুডি থেকে ৬০ হাজার কিউসেক ও ডিভিসি থেকে ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। গত দুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুশান্ত চক্রবর্তী। তবে শুক্রবার ভরা কোটালে ফের কিছু এলাকায় জল ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। এবিষয়ে জেলা প্রসাশনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। মোট ২৬০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ৮১ হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। এই বন্যায় প্রচির পরিমাণে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সরকারিসূত্রে খবর, প্রায় ৮২ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানে ত্রাণের জন্য ৩০টি শিবির খোলা হয়েছে। হরালি-উদয়নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। রাজ্যে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে সামগ্রিকভাবে জলস্তর কমতে শুরু করেছে। নতুন করে কোনও এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও আমতার কয়েকটি অংশে জলস্তর কিছুটা বেড়েছে। হুগলির বেশ কিছু জায়গায় ত্রাণ পৌছনোর ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে বলেও অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় জলে অবরুদ্ধ প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ।
বন্যার ফলে জেলায় জেলায় আন্ত্রিক ও অন্যান্য মহামারীর প্রকোপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ত্রাণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।