ঘাস যত কাটবে, তত বাড়বে! অভিষেকের গড়ে ভাঙনকে পাত্তা না দিয়ে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ পার্থর
শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, ১-২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে। এই প্রেক্ষিতেই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'বিশাল সমুদ্র থেকে দুই ঘটি জল তুলে নিলে সমুদ্র খআলি হয়ে যা না। বরং আরও ঢেউ বাড়ে। যেদিকে তাকাবেন সেখানেই এখন ঘাসফুল। আর ওরা যত ঘাস কাটবে, তত ঘাস বাড়বে।'
তৃণমূল ছাড়েন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক
উল্লেখ্য, গতকালই তৃণমূল ছাড়েন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক কুমার হালদার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক তৃণমূল নেতা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। রাজীব-বৈশালীরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর খোদ অভিষেকের গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি। আজ বারুইপুরে শুভেন্দু-রাজীবের হাত ধরেই বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন দীপক হালদার। এই ভাঙনকেই কোনও ভাবে পাত্তা দিতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দলের বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ প্রকাশ
এদিকে গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন দীপক হালদার। বেশ কিছুদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে একধিক পোস্ট করতেও দেখা যায় তাঁকে। তিনি সরাসরি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, 'চার বছর ধরে আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কোনও অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়নি।'
'উন্নয়নের করার জন্য আগামীদিনে আমি বদ্ধপরিকর'
পদত্যাগের পর দীপক হালদার বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে যদি আমাকে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের হাত ধরতে হয়, তাহলে আমি সেটাতেও প্রস্তুত। ডায়মন্ডহারবারবাসীর উন্নয়নের করার জন্য আগামীদিনে আমি বদ্ধপরিকর। আমি মানুষের ভোটে বিধায়ক হয়েছি। মানুষই আমাকে বিধায়ক করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছি। বিধায়ক পদ ছাড়িনি।
ভাঙনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেহালায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেখা গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপককুমার হালদারকে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আর এরপরই ডায়মন্ড হারবারের বিধায়কের বিজেপিতে যোগের জল্পনা তুঙ্গে চড়ে। এই আবহেই এদিন তিনি শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। তবে এই যোগদানকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার বেহালায় 'খেলা হবে'! শোভনকে টেক্কা দিতে অনুব্রত থেকে 'টোটকা' নিলেন পার্থ?