পশ্চিমবঙ্গে ধাক্কা খেল বিজেপি, হারের জন্য যেসব কারণ উঠে আসছে
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল বিজেপি (bjp) শিবিরে আশার আলো জাগিয়েছিল। সেই ফলাফলের ওপরে ভিত্তি করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবির থেকে নেতাদের যোগদান করিয়ে ভোটের সামনে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল তারা। কিন্তু
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল বিজেপি (bjp) শিবিরে আশার আলো জাগিয়েছিল। সেই ফলাফলের ওপরে ভিত্তি করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবির থেকে নেতাদের যোগদান করিয়ে ভোটের সামনে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল তারা। কিন্তু ম্যাজিগ ফিগারের অর্ধেকে গিয়েই থামতে হল, হারতে (defeat) হল তাদের। এর পিছনে উঠে আসছে নানা কারণ।
সুবিধা পেয়েছ তৃণমূল
নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই তারা (বিজেপি) যেসব জায়গায় শক্তিশালী, সেইসব জায়গায় প্রথম ভোট করানো হচ্ছে। যদিও ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেইসব এলাকাতেই তৃণমূল সাফল্য পেয়েছে। ফলাফলে আরও দেখা গিয়েছে নির্বাচনী সূচিতে বিজেপির কোনও সুবিধা পায়নি। কিন্তু চতুর্থ দফার পর থেকে তৃণমূল ক্রমেই শক্তি অর্জন করেছে।
জঙ্গলমহলে ধাক্কা, সুবিধা পায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়
শুভেন্দু
অধিকারী
খুব
সামান্য
ব্যবধানে
নন্দীগ্রাম
থেকে
জয়ী
হয়েছেন।
অন্যদিকে
বিজেপি
মেদিনীপুর
থেকে
অতিরিক্ত
পাঁচটি
আসন
পেয়েছে।
কিন্তু
তারা
অনেক
বেশি
ধাক্কা
খেয়েছে
জঙ্গলমহলে।
অন্যদিকে
দক্ষিণ
২৪
পরগনায়
বিজেপি
একটিও
আসন
পায়নি।
৩১
টি
আসনের
মধ্যে
তৃণমূল
৩০
টি
আসনে
জয়ী
হয়েছে।
একটি
আসন
জিতেছে
আইএসএফ-এর
আব্বাস
সিদ্দিকি।
বিজেপি
শুভেন্দু
অধিকারীকে
তাদের
দলে
নিয়ে
সংগঠনকে
শক্তিশালী
করেছিল
মেদিনীপুর।
এছাড়াও
দক্ষিণ
২৪
পরগনাতেও
ডায়মন্ডহারবারের
সাংসদ
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিরুদ্ধে
আক্রমণ
জোরদার
করেছিল।
কিন্তু
তারই
মধ্যে
এবার
জঙ্গলমহলে
আসন
হারাল
বিজেপি।
হুগলি-হাওড়াতে হেরেছে বিজেপি
বিজেপি
তাদের
ভিত্তি
শক্ত
করেছিল
হুগলি,
জলপাইগুড়িতে।
কিন্তু
বিধানসভা
নির্বাচনের
ফল
বেরোতেই
দেখা
গেল
এইসব
এলাকায়
ধরাশায়ী
হয়ে
গিয়েছে
তারা।
যার
জেরে
৭৪-৭৫-এ
থেমে
থাকতে
হয়েছে
তাদের।
হুগলি
থেকে
লোকসভায়
নির্বাচন
লকেট
চট্টোপাধ্যায়
বিধানসভা
নির্বাচনে
হেরে
গিয়েছে।
বিজেপির
প্রাক্তন
রাজ্যসভার
সাংসদ
স্বপন
দাশগুপ্ত
হেরে
গিয়েছেন
তারকেশ্বর
থেকে।
অন্যদিকে
হাওড়ার
ডোমজুড়ে
হেরেছেন
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাঁর
ওপরে
বিজেপির
হাওড়ার
ফল
অনেকটাই
নির্ভর
করছিল।
মুর্শিদাবাদ-মালদহে জয় তৃণমূলের
মতুয়া গড় বলে পরিচিত বনগাঁ বিজেপি ধরে রাখতে পারলেও, মালদহ-মুর্শিদাবাদে বড় হার হয়েছে বিজেপির। এই দুই জেলার বেশিরভাগ আসন এবার তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছে। এই দুই জেলার বেশিরভাগ আসন ছিল কংগ্রেস এবং বামেদের দখলে। যে দুই দল এবারের নির্বাচনে কোনও আসন পায়নি। অন্যদিকে বিজেপি তৃতীয় ফ্রন্টের ওপরে নির্ভর করেছিল। ভেবেছিল তারা তৃণমূলের ভোট কেটে সুবিধা করে দেবে। কিন্তু মুসলিম প্রধান এলাকা থেকে তৃতীয় ফ্রন্ট একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে। বলা যেতে পারে শীতলকুচির ঘটনার পর তৃণমূলের প্রচারের কাছে হার মেনেছে সবাই।
জলপাইগুড়িতে বিজেপিকে ধাক্কা
২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি জলপাইগুড়িতে ভাল ফল করেছিল। কিন্তু এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করেছে। এছাড়াও তৃণমূল উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভাল আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় একের পর এক আসনে হেরেছে। উল্লেখ যোগ্য প্রার্থী যাঁরা হেরেছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা, অভিনেত্রী পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি কলকাতার 'ভদ্রলোক'দের কাছে পৌঁছনোর যে চেষ্টা করেছিল, তা কাজে আসেনি।
হল না ১২১ থেকে ১৪৭
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ১৮ টি আসন দখল করে। বিধানসভা ভোটের নিরিখে দেখা যায়, তারা ১২১ টি আসনে এগিয়ে আছে। সেই সময় থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। সেই সময় সংগঠন শক্তিশালী না থাকলেও, তা করার কাজ শুরু করেছিল তারা। টার্গেট ছিল ১৪৭ আসন। কিন্তু টার্গেটের অনেক আগে গিয়েই থামতে হল তাদের।
কমিশনের সাহায্যেই বেড়েছে বিজেপির আসন! কত আসন পেত গেরুয়া শিবির, বললেন 'স্ট্রিট ফাইটার' মমতা